সংক্ষিপ্ত

ছুটির দিনে অমিত সাউসানাকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। জাতিসংঘে সাহসী সাক্ষ্যে তিনি বন্দী অবস্থায় যৌন নির্যাতন ও শারীরিক নিগ্রহের বর্ণনা দেন। অমিতের অভিজ্ঞতা হামাসের বর্বরতার একটি মর্মান্তিক উদাহরণ।

হামাসের সন্ত্রাসী হামলায় ইসরায়েলে শতাধিক লোক নিহত হয়েছিল এবং অনেককে বন্দী করা হয়েছিল, তাদের একজন অমিত সাউসানা। সাধারণ ছুটির সময় তার বাড়িতে অজ্ঞাতসারে তার ওপর হামলা করা হয় এবং হামলাকারীরা তাকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে চলে যায়।

অমিত বলেন, "গাজা থেকে হঠাৎ রকেট হামলা শুরু হয় এবং সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এর ফলে আমি তাদের বন্দী হয়ে যাই।" মুক্তির পর নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অমিত বলেন, "আমাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। গাজায় পৌঁছানোর পর আমাকে আবার মারধর করা হয়, শ্লীলতাহানি করা হয় এবং যৌন নির্যাতন করা হয়।"

অমিতের সাহসী সাক্ষ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে এসেছে, যেখানে তিনি হামাসের বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। "আমার পক্ষে এই জিনিসগুলি বলা খুব কঠিন, তবে আমি সেগুলি বলব কারণ আমি অন্যান্য বন্দীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম," তিনি বলেছিলেন। অমিতের সাহসিকতা সন্ত্রাসবাদীদের নিষ্ঠুরতা এবং তাদের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, "এই ঘটনার ফলে আমার উপর গভীর প্রভাব ফেলে। আমাকে এক নগ্ন সন্ত্রাসীর সঙ্গে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল, যাকে দেখতে অনেকটা দানবের মতো ছিল। সে আমাকে গান পয়েন্টে রেখে নির্যাতন করত এবং জিজ্ঞেস করত, 'তোমার পিরিয়ড কবে শেষ হবে?'

অমিত বলেছিলেন যে সন্ত্রাসী তাকে বলেছিল সে তার সঙ্গে কী করবে। অমিতের অসহায়ত্ব তাকে তাড়িত করে, "এমন কোনও দিন নেই যে আমি সেই ঘৃণ্য সন্ত্রাসীর চেহারাটা চাইলেও ভুলতে পেরেছি। আমি প্রতিদিন ভাবি, এখন আমি স্বাধীন এবং সে আমার কিছুই করতে পারবে না।" অমিত বরাবরের মতো সাহসী ছিলেন এবং বলেছিলেন, “আমি কৃতজ্ঞ যে আমি সেই অত্যাচারী সন্ত্রাসীর সঙ্গে আর নেই।”