সংক্ষিপ্ত
অক্সিজেন শেষ হওয়ার আগে যে করে হো খুঁজে বার করতে হবে পাঁচ অভিযাত্রী-সহ ডুবোজাহাজকে। এদিকে হিসেব বলছে আর অক্সিজেন নেই সাবমেরিনে।
অবশেষে একটু হলেও আশার আলো দেখতে পেল মার্কিন উদ্ধারকারী দল। বৃহস্পতিবার টাইটানিকের ধ্বংসস্তুপের সামনেই খোঁজ মিলল একটি জলযানের। এদিন ইউএস কোস্ট গার্ড জানিয়েছেন ডুবো জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে একটি ধ্বংসাবশেষের ক্ষেত্র খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজ একটি জটিল পর্যায় এসে পৌঁছেছে। অক্সিজেন শেষ হওয়ার আগে যে করে হো খুঁজে বার করতে হবে পাঁচ অভিযাত্রী-সহ ডুবোজাহাজকে। এদিকে হিসেব বলছে আর অক্সিজেন নেই সাবমেরিনে। তবে কি টাইটানিকের কোলেই হারিয়ে যাবে সাবমেরিন?
নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে চারদিন কেটে গেলেও হদিশ মেলেনি ডুবোজাহাজ 'টাইটান'-এর। এদিকে সময়ের হিসেব বলছে সাবমেরিনে অক্সিজেন আর একটুও অবশিষ্ট নেই। তবে কি RMS টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষেই সলিল সমাধি পাঁচ অভিযাত্রী-সহ সাবমেরিনের? এই আশঙ্কাতেই দিন গুনছে উদ্ধারকারী দল। চারদিন কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ডুবোজাহাজের। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী। আটলান্টিকের এক বিশাল এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। অন্যদিকে প্রত্যেক মিনিটে কমছে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা। সময়ের অঙ্ক অনুযায়ী সাবমেরিন সম্পূর্ণ অক্সিজন শূন্য হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অক্সিজন সম্পূর্ণ ফুরিয়ে গেলে যে সমস্ত পরিশ্রম বিফলে যাবে তা স্বীকার করেছে কোস্ট গার্ডের অফিসাররাও।
বৃহস্পতিবার ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক জানিয়েছেন,'প্রতি আধঘন্টা অন্তর আমরা সমুদ্রের গভীরে থেকে সংকেত শব্দ পাচ্ছিলাম। আমরা নিশ্চিত ওই শব্দ নিখোঁজ সাবমেরিন 'টাইটান'-এর থেকেই পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী ডুবোজাহাজে আর এক ফোঁটা অক্সিজেনও অবশিষ্ট নেই। আগামী আধ ঘন্টায় ফের সংকেত না পেলে সব আশা শেষ বলেই ধরে নিতে হবে।'