সংক্ষিপ্ত
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সহ আরও অনেক দেশে করোনার কারণে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাও জানা যাচ্ছে। ভারতের পরিস্থিতির কথা বলতে গেলে গত ২০ দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনের মধ্যে সংক্রমণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাব। নতুন ভেরিয়েন্ট JN.1 ই বর্তমানে ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এক সাধারণ লক্ষণগুলি হল জ্বর, সর্দিকাশি, গলা ব্যাথা, শরীরের ব্যাথা আর ক্লান্তি। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন সহ আরও অনেক দেশে করোনার কারণে হাসপাতালে ভিড় বেড়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর ঘটনাও জানা যাচ্ছে। ভারতের পরিস্থিতির কথা বলতে গেলে গত ২০ দিন ধরে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জনের মধ্যে সংক্রমণ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এদিকে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (HCQ), এটি একটি ম্যালেরিয়ার ওষুধ, যার চাহিদা করোনার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছিল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই মার্কিন নাগরিকদের এটি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এখন এ নিয়ে একটি বড় ও ভয়ংকর তথ্য সামনে এসেছে। ফরাসি গবেষকদের একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের কারণে ৬টি দেশে প্রায় ১৭ হাজার মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই মারা গিয়েছেন ১২,৭৩৯ জন।
এটি লক্ষণীয় যে, আমেরিকার পরে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের কারণে মৃত্যুর হারের তালিকায় দ্বিতীয় নাম স্পেন, এখানে ১৮৯৫ জন মারা গেছে, তারপরে ইতালি, যেখানে ১৮২২ জন মারা গিয়েছে, বেলজিয়ামে মারা গিয়েছে ২৪০ জন, ফ্রান্সে ১৯৯ জন, তুরস্কে ৯৫ জন মারা গিয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো এগুলো শুধুই আনুমানিক পরিসংখ্যান। গবেষকরা বলছেন, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন যে এই সমীক্ষাটি মার্চ ২০২০ থেকে জুলাই ২০২০ পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র ৬টি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
জানা গেছে, এই ভয়ঙ্কর গবেষণায় ৬টি দেশের ১৭ হাজার মানুষের মধ্যে যাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে, হৃদস্পন্দনের ধারাবাহিকতা না থাকা এবং পেশির দুর্বলতার মতো সাধারণ কারণগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে এই গবেষণার অধীনে, আমেরিকা, তুরস্ক, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেন এবং ইতালিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং তাদের ওষুধ ব্যবহারের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।