পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদে ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে, চিন পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিকে সমর্থন করেছে।
পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদে ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা! সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা এমনই জানানো হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে।
অন্যদিকে চিন জানিয়েছে যে পহেলগাঁও কাণ্ডে পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সমর্থন করছে চিন। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, "ভারত এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের দিকে ওয়াশিংটন নজর রেখেছে। উভয় পক্ষকেই দায়িত্বশীল ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে আছে।"
ভারত ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তর ইমেলে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। মুখপাত্র জানিয়েছেন, " এটা একটা ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি। কী কী ঘটছে, আমরা নজর রেখেছি। দায়িত্বশীল সমাধান খুঁজে নেওয়ার জন্য আমেরিকা উভয়পক্ষকে উৎসাহিত করছে। আমেরিকা ভারতের পাশে আছে।"
ভারত-পাকিস্তান প্রসঙ্গ নিয়ে একই কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সও।
তবে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেছে চিন। তবে এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগ রয়েছে কি না তা নয়ে পরিষ্কার নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছে এই দেশ। পাকিস্তান প্রথম থেকেই এই হামলার সঙ্গে নিজেদের যোগ অস্বীকার করে এসেছে। তাই আন্তর্যাতিক তদন্ত চেয়েছে এই দেশ।
চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী তথা উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সেখানেই তিনি পাকিস্তানকে সমর্থনের কথা জানান। দুই দেশকে সংযত হওয়ার বার্তা দেন। চিন জানিয়েছে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানের পাশে আছে তারা।
আমেরিকার নতুন শুল্কনীতি ঘোষণার পর থেকেই চিন-আমেরিকা সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সেই কারণেই পাকিস্তানের পাশে চিনের থাকার খবরে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। তারপর থেকে ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটেছে। সিন্ধু চুক্তি রদ করেছে ভারত।


