কাসিম ইব্রাহিম বলছেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট মইজ্জুকে চিন সফরের পর তাঁর মন্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠিকভাবে ভারত সরকার ও এই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।' 

নয়াদিল্লি ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূরত্ব। এই অবস্থায় দেশের মধ্যেই অস্বস্ত বাড়ছে মালদ্বাপীর রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মইজ্জুর। কারণ তাঁকে এবার দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে মালদ্বাপীর তিন রাজনৈতিক করা অবমাননাকর মন্তব্যের জবাবেই এই মন্তব্য করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

মঙ্গলবার মালদ্বীপের এক নেতা কাসিম ইব্রাহিম বলছেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট মইজ্জুকে চিন সফরের পর তাঁর মন্তব্যের বিষয়ে আনুষ্ঠিকভাবে ভারত সরকার ও এই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'একটি বিবৃতি জারিও করেছেন তিনি। ইব্রাহিম বলেছেন, 'কোনও দেশ সম্পর্কে বিশেষ করে প্রতিবেশী সম্পর্কে আমাদের এমনভাবে কথা বলা উচিৎ নয়, যা দুই দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। আমাদের রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিৎ।'

Scroll to load tweet…

জুমহুরি পার্টির নেতার মহম্মদ মইজ্জুর পূর্বসুরি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ দ্বারা জারি করা একটি রাষ্ট্রপতির ডিক্রির সম্ভাব্য বাতিলের বিষয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, যা বর্তমান রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত 'ইন্ডিয়া আউট' প্রচারকে নিষিদ্ধ করেছিল। তিনি আরও বলেছেন, এখন ইয়ামিন প্রশ্ন করেছেন, কেন মইজ্জু ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছিলেন, কেন রাষ্ট্রপতির ডিক্রি বাতিল কার হয়নি। তিনি আরও বলেছেন,এই পদক্ষেপ দেশের ক্ষতি করছে।

সাম্প্রতিক মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে যে কূটনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দেশের প্রচুর মানুষ মালদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করেছেন। অনেক সিনেমার শ্যুটিং বাতিল হয়েছে। আর্থিক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মালদ্বীপের অর্থনীতির ওপর।