সংক্ষিপ্ত
ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে যে একটি ১২০ মিমি মর্টার একটি শত্রু পক্ষের একটি রকেট লঞ্চারকে ধ্বংস করছে। আয়রন স্টিং' হল একটি ১২০ মিমি মর্টার যুদ্ধাস্ত্র যা লেজার এবং GPS উভয় নির্দেশিকা দিয়ে সজ্জিত
ইজরায়েল এই প্রথম হামাস জঙ্গীদের বিরুদ্ধে আয়রন স্টিং মর্টার বোম ব্যবহার করেছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সেই হামলার ফুটেজ প্রকাশ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছেন, সেনা বাহিনীর ম্যাগলান ইউনিট গাজা উপত্যকায় হামাসের রকেট লঞ্চারগুলিকে টার্গেট করার জন্য ও জঙ্গিদের অস্ত্রগুলি ধ্বংস করার জন্য আয়রন স্টিং-এর মত মারণ অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
'ম্যাগেলান ইউনিট বিমান বাহিনীর সাহায্যে স্টিল স্টিং নামে একটি মর্টার বোমা ব্যবহার করেছে। এর উদ্দেশ্যই হল হামাস জঙ্গিদের অস্ত্র ধ্বংস করা।' সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও পোস্ট করেছে তেমনই বার্তা দিয়েছে ইজরায়েলের প্রতিরভা মন্ত্রক। গোটা হামলা ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। এটি প্রতিরক্ষামন্ত্রক বিষয়টিকে ডকুমেন্টেশন করেছে।
ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে যে একটি ১২০ মিমি মর্টার একটি শত্রু পক্ষের একটি রকেট লঞ্চারকে ধ্বংস করছে। আয়রন স্টিং' হল একটি ১২০ মিমি মর্টার যুদ্ধাস্ত্র যা লেজার এবং GPS উভয় নির্দেশিকা দিয়ে সজ্জিত এবং এর পরিসীমা ১-১২ কিমি। এটি এলবিট সিস্টেম দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। ২০২১ সালে ইরজালেরের গ্রাউন্ড ফোর্স এটি হাতে পেয়েছে। তারপর এই প্রথম ব্যবহার করা হল।
মর্টারটি ফাঁকা জায়গায় যেমন ব্যবহার করা যায়। তেমনই শহরেও ব্যবহার করা হয়। এই মর্টারে সাধারণ মানুষের আহত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এটি সুনির্দিষ্ট টার্গেটকেই আঘাত করে। এর অপারেশনাল ব্যবহার স্থল যুদ্ধে বিপ্লব ঘটাবে এবং ব্যাটালিয়নকে জৈব, নির্ভুল এবং কার্যকর ফায়ারপাওয়ার দিয়ে সজ্জিত করবে বলেও দাবি করেছে ইজরায়েল। ম্যাগলানের ফরমেশন কমান্ডার মেজর জেনারেল ওমর কোহেন বলেছেন এটি ব্যবহার করেই হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করা যায়। তিনি আরও বলেছেন, এটি ব্যবহার করে গাজার ভিতরে প্রায় ১০০জন হামাস জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ছিটমহলে গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলের হামলার ১১৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইজরায়েস এবার হামাসদের ছেড়ে সাধারণ মানুষকেও টার্গেট করছে বলে অভিযোগ প্যালেস্টাইনের। প্যালেস্টাইন আরও বলেছেন গাজা থেকে হামাসরা গত ৭ অক্টোবর হামলা করেছিল। তারপর থেকে এপর্যন্ত ইজরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ১৪০০ হামাস জঙ্গি। যুদ্ধ ক্রমশই ব্যাপক আকার নিচ্ছে।