সংক্ষিপ্ত
দাবি করা হচ্ছে, এবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে ইজরায়েল সাইবার হামলা চালিয়েছে। এতে কিছু তথ্য চুরিও হয়েছে। সাইবার হামলার পর ঘুম হারাচ্ছে ইরানি সেনা।
ইরানের ভয়াবহ হামলার পর এখন পাল্টা জবাব দিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের পক্ষ থেকে এই পাল্টা আক্রমণ এমন ছিল যে কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি, তবে আক্রমণ এমন ছিল যে তেহরানে আলোড়ন পড়ে যায়। দাবি করা হচ্ছে, এবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে ইজরায়েল সাইবার হামলা চালিয়েছে। এতে কিছু তথ্য চুরিও হয়েছে। সাইবার হামলার পর ঘুম হারাচ্ছে ইরানি সেনা।
ইরানের এই পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি ইজরায়েলের টার্গেটে রয়েছে
ফারদোই ইরানের প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্র যাকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে। যা একটি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। ২০০৯ সাল থেকে কার্যকর। এটি পাথরের নিচে নির্মিত। তেল আবিব থেকে এর দূরত্ব ১৮৪২ কিমি।
একইভাবে আরাক নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টারও লক্ষ্যে রয়েছে, যেটি ২০০৬ সালে সম্পন্ন হয়েছিল। এখানে রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন হয়।
এছাড়াও, নাটানজ পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্ট রয়েছে যা ২০০৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। এটি একটি ভূগর্ভস্থ উদ্ভিদ। তেল আবিব থেকে এর দূরত্ব ২০২৭ কিমি।
ইসফাহান পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র চিনের সহযোগিতায় নির্মিত। এতে তিন হাজারের বেশি বিজ্ঞানী কাজ করেন। ইজরায়েল এখানেও হামলা চালাতে পারে।
এরপরই রয়েছে বুশেহর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যা রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত। ২০১০ সাল থেকে কার্যকর। তেল আবিব থেকে এর দূরত্ব ২০৭২ কিমি।
ইরানের ৭টি বড় শোধনাগারও লক্ষ্যে
এক নম্বরে রয়েছে আবাদান শোধনাগার।
দুই নম্বরে রয়েছে ইসফাহান রিফাইনারি।
আরাক শোধনাগার রয়েছে তিন নম্বরে।
চার নম্বরে রয়েছে বন্দর আব্বাস রিফাইনারি।
তেহরান শোধনাগার রয়েছে পাঁচ নম্বরে।
ছয় নম্বরে রয়েছে আরভান্দ রিফাইনারি।
সাত নম্বরে রয়েছে লাভান আইল্যান্ড রিফাইনারি।
ইজরায়েলের এই পরিকল্পনা গোটা আরবে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে কারণ ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও তেল ঘাঁটিতে হামলার অর্থ হবে গোটা আরবে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে এবং তার সাথে সারা বিশ্বে তেলের দামও জ্বলবে। অনেক আরব দেশ আমেরিকার কাছে ইসরায়েলকে এ ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু লাভ হয়নি।।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।