সংক্ষিপ্ত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই মন্তব্য হতচকিত বিশ্ব। পুতিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বলেছিলেন যে মহিলারা তাদের বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য এবং উদারতা দিয়ে বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে, তবে প্রকৃতি তাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি মন্তব্য হতচকিত গোটা বিশ্ব। একটি দেশের প্রধান হিসেবে মহিলাদের সম্পর্কে করা মন্তব্য নিয়ে আপাতত তোলপাড় বিশ্ব। দেশের মহিলাদের বেশি সংখ্যক সন্তান ধারণ করার আবেদনই শুধু ওই রাষ্ট্রপতি করেননি। এর সঙ্গে তাঁর মন্তব্য মহিলাদের কাজ হল পুরুষদের মন যুগিয়ে চলা ও তাঁদের ইমপ্রেস করা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এই মন্তব্য হতচকিত বিশ্ব। পুতিন আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বলেছিলেন যে মহিলারা তাদের বুদ্ধিমত্তা, সৌন্দর্য এবং উদারতা দিয়ে বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে, তবে সর্বোপরি, প্রকৃতি তাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে। পুতিন বলেন, একজন মহিলার মা হওয়া একটা চমৎকার মুহূর্ত। তিনি বলেন, যে কোনো মহিলার জন্য পরিবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সে যে পেশায় থাকুক বা যত উচ্চতা অর্জন করুক না কেন, পরিবার চালানোই তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।

পুতিন একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে আমাদের ফোকাস পরিবারের স্বার্থ বা চাহিদার দিকে এবং এগুলোই আমাদের অগ্রাধিকার। রাষ্ট্রপতি আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ রাশিয়ায় পরিবারগুলিকে সহায়তা করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করবে। ভাষণে, পুতিন আরও বলেছেন যে ২০২৪ রাশিয়ায় 'পরিবারের' বছর।

মহিলাদের উদ্দেশে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনারা অত্যন্ত জটিল কাজ করেন এবং সময়মতো কাজগুলো সম্পন্ন করার ক্ষমতা দেখে আমরা মুগ্ধ। পুতিন মহিলাদের অনেক প্রশংসা করে বলেন, "আকর্ষণীয় এবং সুন্দর থাকতে আপনি অনেক সমস্যা ও উদ্বেগের সম্মুখীন হন। তাহলে কীভাবে কেউ আপনাকে প্রশংসা না করতে পারে?"

এখানে উল্লেখ্য যে পুতিন রাশিয়ার জন্মহার বাড়ানোর জন্য প্রচার জোরদার করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে মস্কোতে ওয়ার্ল্ড রাশিয়ান পিপলস কাউন্সিলের ভাষণে পুতিন বলেছিলেন যে দেশের এমন একটি সময়ে ফিরে আসা উচিত যখন বড় পরিবার ছিল আদর্শ। আমাদের ঠাকুমা-দিদার সাত, আট বা তার বেশি সন্তান ছিল। পুতিন গত বছর একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন যা এই বছরটিকে শিশু তৈরির বছর হিসাবে নামকরণ করেছে। রাশিয়ায় কয়েক দশক ধরে কমছে জন্মহার। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পুতিন এই মন্তব্য করেন। ত ৩০ বছর ধরে দেশে জন্মহার কমছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এই পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।