সংক্ষিপ্ত

বিলুপ্ত উপগ্রহ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে আমাদের গ্রহেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঠের স্যাটেলাইট এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

মহাকাশের জগতে একটি নতুন পরীক্ষা ঘটতে চলেছে। আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা 'নাসা' এবং জাপানের মহাকাশ সংস্থা 'জাক্সা' বিশ্বের প্রথম কাঠের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে।

এই স্যাটেলাইটটি আগামী বছরের গ্রীষ্মের মধ্যে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ সংস্থাগুলো গত ৫০ বছরে হাজার হাজার উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। স্যাটেলাইটগুলি যখন তাদের মেয়াদ শেষ করে, তখন পৃথিবীর নানা অংশে আবর্জনা বা ধ্বংসাবশেষ হিসাবে ভাসতে থাকে। এটি অন্যান্য স্যাটেলাইটকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। শুধু তাই নয়, বিলুপ্ত উপগ্রহ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে আমাদের গ্রহেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঠের স্যাটেলাইট এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

Space.com-এর মতে, কাঠ মহাকাশে জ্বলতেও পারে না বা পচতেও পারে না। ভাল জিনিস হল কাঠের উপগ্রহগুলি বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করলে, তারা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এর অর্থ হল ভবিষ্যতে এগুলো ব্যবহার করা হলে মহাকাশে আবর্জনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দূর হবে।

লিগনোস্যাট কত বড়?

তথ্য অনুযায়ী, লিগনোস্যাটের আকার একটি কফি মগের সমান। এটি ২০২৪ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে চালু করা যেতে পারে। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাগনোলিয়া কাঠ।

এভাবেই কাঠ নির্বাচন করা হয়েছে

যে ম্যাগনোলিয়া কাঠ থেকে মহাকাশ সংস্থাগুলি স্যাটেলাইট তৈরি করেছে তা প্রথম আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পরীক্ষা করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা তিন ধরনের কাঠ পরীক্ষা করেছেন। সবাই মহাকাশে সফল ছিল, মানে তাদের মধ্যে কোনো ভাঙ্গন ছিল না। যাইহোক, বিজ্ঞানীরা ম্যাগনোলিয়া কাঠ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ স্যাটেলাইট তৈরি করার সময় এটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে