সংক্ষিপ্ত
লকডাউনে বাডড়িতে বন্দি সারা পৃথিবীর মানুষ
তারমধ্য়েই জন্ম নিল গাধার সঙ্গে জেব্রার সঙ্গমে এক আশ্চর্য সঙ্কর প্রাণী
যাকে বলা হচ্ছে জঙ্কি
বিশ্বজুড়ে তাকে নিয়ে আলোরণ পড়ে গিয়েছে
একটি গাধার সঙ্গম সঙ্গিনী হয়েছিল একটি জেব্রা। আর তাদের মিলনে জন্ম নিয়েছে একটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক সঙ্কর বা হাইব্রিড প্রাণী, যাকে বলা হচ্ছে 'জঙ্কি', (গাধার ইংরাজি নাম ডঙ্কি ও জেব্রা মিলিয়ে)। আর লকডাউনের হতাশার মধ্যে এই ফুটফুটে মজার এবং অত্যাশ্চর্য প্রাণীটিকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোরণ পড়ে গিয়েছে। শেনড্রিক ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট, কেনিয়াতে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধার ও পুনর্বাসনের কাজ করে থাকে। ওই সংস্থাই এই জেব্রা এবং তার জঙ্কি সন্তানের কাহিনি জানিয়েছে।
এই জেব্রার কাহিনি কিন্তু রীতিমতো কৌতূহলের। শেনড্রিক ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসে হঠাৎ নিজে থেকেই ওই জেব্রাটি সাভো ইস্ট জাতীয় উদ্যান থেকে বেরিয়ে এসেছিল। কোনও ভাবে এসে পড়েছিল স্থানীয় এক মহিলার পশুশালায়। এমন অদ্ভুত ঘটনা খবর পেয়ে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে গিয়ে জেব্রাটিকে চিউলু জাতীয় উদ্যানে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। খুব তাড়াতাড়ি সেখানেই মানিয়ে নিয়েছিল জেব্রাটি। কিন্তু, তার আগে যে ওই মহিলায় পশুশালায় সে অন্য কীর্তি করে এসেছে, তা কাউকে ঘুনাক্ষরেও টের পেতে দেয়নি।
শেল্ড্রিক ওয়াইল্ড লাইফ জানিয়েছে, এই বছরের শুরুর দিকে, চিউলু জাতীয় উদ্যানে ওই জেব্রাটির তার এক সন্তানকে এক ঝলক দেখা গিয়েছিল। তবে কয়েক সপ্তাহ পরই বোঝা দিয়েছিল, কাহিনিতে আশ্চর্য মোচড় রয়েছে। কারণ, জেব্রার যে সন্তানটি জন্মেছে, সেতার গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলি আশ্চর্য রকমের হালকা আর গায়ের রঙ-ও বেশ তামাটে। প্রথমদিকে, ট্রাস্টের সদস্যরা ভেবেছিলেন, বোধহয় কাদা স্নানের জন্য ওইরকম রঙ মনে হচ্ছে। কিন্তু পরে তাঁরা নিশ্চিত হন, এটি আসলে একটি গাধা ও জেব্রার মিলনের ফল।
ট্রাস্টের বক্তব্য, ওই জাতীয় উদ্যানে আসার আগে, ওই পশুপালিকা পশুশালাতেই সম্ভবত মহিলার জেব্রাটির সঙ্গে কোনও কামার্ত গাধার দেখা হয়েছিল। তবে এই জন্ম নেওয়া জঙ্কিটি গাধা এবং জেব্রার 'অত্যন্ত নিখুঁত সংকর' বলে জানানো হয়েছে। এতটা নিখুঁত জঙ্কি এর আগে জন্মায়নি বলেই দাবি করছেন তাঁরা। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে যে ফটোগুলিতে শেয়ার করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট জঙ্কিটির পায়ের দিকে ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। তাকে তার জেব্রা মায়ের পিছনে পিছনে চলতে দেখা গিয়েছে।
তবে শেল্ড্রিক ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টের মতে, যত বড় হবে তত গাধার মতো হয়ে উঠবে। তবে পূর্ণবয়সে পৌঁছনোর পরও সম্ভবত সে বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে না।