সংক্ষিপ্ত
- আইপিএল ২০১৯-এর ধুন্ধুমার ফর্মে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল
- তারপরেও কেকেআর প্লেঅফে জায়গা করে নিতে পারেনি
- ব্যাট হাতে ভারতীয় ভক্তদের বিনোদন দেওয়ার পর এবার অন্য পথ ধরলেন তিনি
- মিস্টি সুরের মুর্চ্ছনায় ভারত ছাড়তে চান
এবারের আইপিএল-ও একার হাতে আন্দ্রে রাসেল যে প্রাক্রম দেখিয়েছেন তা দেশী-বিদেশী মিলিয়ে দ্বিতীয় কোনও ক্রিকেটার দেখাতে পারেননি। কাছাকাছি রাখা যায় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। কিন্তু তিনিও অনেক পিছনে থাকবেন দ্রে'রুস-এর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল প্লেঅফে জায়গা করে নিতে পারেননি। আইপিএল অভিযানের শেষে যখন সব বিদেশী নাইটরাই দেশে ফিরে গিয়েছেন, তখন রাসেল কিন্তু এখনও তাঁর ভক্তদের বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আইপিএল-এর তাণ্ডব সুরে নয় মিস্টি সুরের মুর্চ্ছনায় ভারত ছাড়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা এমনিতেই বেশ রঙিন চরিত্রের হন। ক্রিকেট মাঠে যেমন ছক্কা মারা তারা পছন্দ করেন, তেমন মাঠের বাইরে অনেকেই মাতিয়ে দিতে পারেন ক্যালিপসোর সুরে। এর আগে ডিজে ব্রাভোকে দেখা গিয়েছে সঙ্গীত জগতে। এবার নাইট দ্রে'রুসও ভারতের মাটিতে তাঁর প্রথম 'সিঙ্গলস' রেকর্ড করে ফেললেন। তাও আবার হিন্দি ভাষায়। গানটির কম্পোজার পলাশ মুচ্ছল। মুম্বইয়ে রেকর্ডিং-এর পরই ইনস্টাগ্রামে পলাশের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তাঁর এই হিন্দি গান গাওয়ার খবর জানান রাসেল।
জানা গিয়েছে, রাসেল ও পলাশ মুচ্ছলের পরিচয় ইনস্টাগ্রামে। পলাশের ক্রিকেট খেলার ছবি দেখএ তিনি কমেন্ট করেছিলেন। তারপর পলাশ জানতে পেরেছিলেন, তাঁর তৈরি মিউজিক রাসেল শুনেছেন। এরপরই দুজনে মিলে একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করেন।
কেমন হিন্দি গাইলেন রাসেল? পলাশ জানিয়েছেন হিন্দিতে গাওয়াটা রাসেলের পক্ষে কঠিন ছিল, কিন্তু তিনি ভালোই গেয়েছেন। রাসেলও জানিয়েছেন হিন্দি ভাষার উচ্চারণ নিয়ে খানিক অস্বস্তিতে ছিলেন। তবে চ্যালেঞ্জিং কাজটা করতে গিয়ে দ্রে'রুস বেশ মজাই পেয়েছেন। গানটি 'ডান্স নাম্বার' বলেই জানিয়েছেন পলাশ। তবে নাম এখনও ঠিক হয়নি।
এর পাশাপাশি বাজারে নতুন জিম-পোশাকও আছেন আন্দ্রে রাসেল। 'রকইটইন্ডিয়া' সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই নতুন 'ক্লোদিং লাইন' চালু করছেন তিনি। সকলেরই জানা, জিনে সময় কাটাতে রাসেল ভীষণ ভালোবাসেন। এই নতুন 'জিমওয়্যার'-এর বিজ্ঞাপনের শুটিং-এর কাজেও সম্প্রতি দেখা গিয়েছে তাঁকে।