সংক্ষিপ্ত
- আইপিএলে দুরন্ত জয় পেল চেন্নাই সুপার কিংস
- ১০ উইকেটে পঞ্জাবকে হারাল এমএস ধোনির দল
- প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৭৮ রান করে পঞ্জাব
- জবাবে ১৪ বল আগেই ম্য়াচ জিতে নেয় সিএসকে
দুরন্তভাবে আইপিএলে জয়ে ফিরল এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডুপ্লেসির অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ১০ উইকেটে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় পেল সিএসকে। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক কেএল রাহুল। খুব আক্রমণাত্বকভাবে এদিন ইনিংসের শুরু করেননি পঞ্জাবের দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওপেনিং জুটিতে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজন। নবম ওভারে প্রথম উইকেট পরে কিংস ইলেভেনের। পীযুষ চাওলার বলে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ২৬ রান করেন তিনি। এরপর মনদ্বীপ সিং ও কেএল রাহুল ৩৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। কিন্তু ১২ তম ওভারে রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হন মনদ্বীপ সিং। ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর নমেন নিকোলাস পুরান। এরইমধ্যে নিজের অর্ধশতরানও করেন পঞ্জব অধিনায়ক। ১৫ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১৩০ রানে ২ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানে গতিবেগ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে নিকোলাস পুরান ও কেএল রাহুল জুটি। আক্রমণাত্বক শট খেলাও শুরু করেন তারা। ১৭ তম ওভারে ১৫০ রানের স্কোরে পৌছে যায় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব স্কোর। ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১৫২ রানে ২ উইকেট। কিন্তু ১৮ ওভারের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন নিকোলাস পুরান। ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহুলকে আউট করে চেন্নাইকে ম্য়াচে ফেরান শার্দুল। ৬৩ রান করে আউট হন কেএল রাহুল। ম্যাক্সওয়েল ও সরফরাজ খান ক্রিজে এসে দ্রুত রান তুলতে একটু সমস্যায় পড়েন। ১৯ ওভার শেষে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৬ রানে ৪ উইকেট। শেষে ওভারে আসে ১২ রান। ২০ ওভার শেষে পঞ্জাবের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৭৮। সিএসকের হয়ে শার্দুল ঠাকুর দুটি ও একটি করে উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা ও পীযষ চাওলা।
১৭৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে এদিন দুরন্ত শুরু করেন চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটি রান না পাওয়ায় প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ছিল সিএসকে। এদিন সেই সমস্যায় সমাধান হয়। দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করেন সিএসকে ওপেনাররা। শামি বাদে কোনও সিএসক বোলাররাই সভাবে আটকে রাখতে পারেনি ডুপ্লেসি ও ওয়াটসন জুটিকে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে বিপক্ষে অধিনায়ক ও বোলারদের কার্যত দিশেহারা করে দেন তারা। প্রথম পাওয়ার প্লেৃতে ওভার পিছু প্রায় ১০ রাননের গড়ে ব্যাট করতে থাকেন সিএসকে ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে-র পরও রানের গতিবেগ কমাননি তারা। একের পর এক প্রহার করতে থাকেন ডুপ্লেসি ও ওয়াটসন। ১০ ওভারের মধ্যে নিজেদের শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন ফেলেন সিএসকের দুই তারকা ব্যাটসম্যান। ১০ ওভার শেষে চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১০১ রান।
১১ তম ওভারে পরপর দুটি চার মেরে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন শেন ওয়াটসন। মাত্র ৩১ বললে ৫০ রান করেন প্রাক্তন অজি তারকা। একই ওভারে নিজের নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করেন ফাফ ডুপ্লেসি। ৩৩ বে ৫০ রান করেন তিনি। দ্রুত গতিতে স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাতে থাকেন দুজন। ১২ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১১৯ বিনা উইকেটে। নিজেদের পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান ডুপ্ললেসি ও ওয়ার্নার। ১৫ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১৫০। রানের গতি একই রেখে এগিয়ে চলে চেন্নাইয়ের ওপেনাররা। ১৭ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১৬৮ রান। ১৮ তম ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় সিএসকে। ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়াটসন ও ৮৭ রান করে অপারজিত থাকেন ডুপ্লেসি। এই জয়ের সৌজন্যে আইপিএলে ফের লড়াইয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। পয়েন্ট টেবিলেও উঠে এল উপরের দিকে।