সংক্ষিপ্ত
- কলকাতার ফের দেখল হারের মুখ
- দিল্লি-র বিশাল রানের পাহাড় টপাকাতে ব্যর্থ কলকাতা
- প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ২২৯ রানের টার্গেট রাখে
- কলকাতা শেষদিকে রোমহর্ষক উত্তেজনা তৈরি করলেও তা যথেষ্ট ছিল না
দিল্লি-র কাছে হেরে গেল কলকাতা। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি ক্যাপিট্যালস জয়ের জন্য কলকাতার সামনে ২২৯ রানের টার্গেট রেখেছিল। কিন্তু, কলকাতার ইনিংস থামল ২০ ওভারে উইকেটে রানে। যা দিল্লির রানের থেকে ১৮ রান কম ছিল। এই জয়ের সুবাদে আইপিএল-এর পয়েন্ট টেবিলে উপরের দিকে উঠে গেল দিল্লি ক্যাপিট্যালস। কারণ তারা ৪টি ম্যাচ খেলে ৩টি জয় এবং ১ পরাজয় পেয়েছে।
২২৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কলকাতা ভালোই এগোচ্ছিল। কিন্তু ২০ ওভারে ২০০-র বেশি রান তাড়া করাটা চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। ফলে ৯ ওভারের মধ্যেই কলকাতা ৭২ রানে করে ফেললেও তা যথেষ্ট ছিল না। এদিনও ভালোই শুরু করেছিলেন কলকাতার ওপেনার শুভমন গিল। কিন্তু, ক্রিজে জমে গিয়েও ২২ তুলে ২৮ রান করে আউট হয়ে যান। নারিন থেকে শুরু করে রাসেল, কার্তিক ফের রান তুলতে ব্যর্থ। নীতিশ রানা ৩৫ বলে ৫৮ রান করলেও ম্যাচ জয়ের পক্ষে তা যথেষ্ট ছিল না। ইয়ন মরগ্যান ১৫ ওভার থেকে জ্বলে উঠেন। অবিশ্বাস্য সব ওভারবাউন্ডারি মেরে তিনি কলকাতাকে খেলায় ফেরান। সেই সঙ্গে তরুণ ত্রিপাঠীকে গাইড করতে থাকেন। যার জেরে ত্রিপাঠীও কার্যকরি সব শট খেলে মরগ্যানের একার উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেন।
১৬ ও ১৭ ওভারে দিল্লির বোলিং-কে ছত্রাখার করে দেন মরগ্যান ও ত্রিপাঠী। যেখানে প্রতি ওভারে রান তোলার গড় ছিল ১৮-র বেশি। সেখানে ১৮ ওভারে তা নেমে আসে ১০-এর কাছে। তবে, ম্যাচ জেতানোর চেষ্টায় মরগ্যান একটু বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন। যার খেসারতও দিতে হয় তাঁকে। বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ ধরে ফেলেন হেটমেয়ার। বোলার ছিলেন নর্জে। মরগ্যান আউট হতেই খানিক লড়াই চালান ত্রিপাঠী। কিন্তু, ম্যাচ জেতানোর জন্য ত্রিপাঠীর অভিজ্ঞতা যথেষ্ট ছিল না, ফলে তিনিও উইকেট হারিয়ে ফেলেন। শেষমেশ ২০ ওভারের শেষে কলকাতা ২১০ রান তুলতে সক্ষম হয়।