সংক্ষিপ্ত
- শারজায় কেকেআর ও আরসিবির মহারণ
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত কোহলির
- ২০ ওভারে ১৯৪ রান করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সরা
- দলের হয়ে সর্বাধিক ৭৩ রান করলেন ডিভিলিয়ার্স
এবিডিভিলিয়ার্সের ৩৩ বলে ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দুই মহাতারকার ১০০ রানের পার্টনারশিপের সৌজন্যে আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শারজায় প্রথম ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৯৪ রান করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এদিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওপেনিংয়ে শুরুটা বেশ ভালই করেন আরসিবির দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও দেবদূত পাড়িকল। প্রয়োজন মত আক্রমণাত্বক শটও খেলেন তারা। পাওয়ার প্লে-তে বেশ কয়েকটি আকর্ষনীয় বাউন্ডারি মারেন আরসিবির দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লে-তে ওভার পিছু ৮-এর বেশি রান রেটে ব্যাট করেন দুই ব্যাটসম্যান। ৬ ওভারের মধ্যেই দলের পঞ্চাশ পূরণ করেন দেবদূত পাড়িকল ও অ্যারন ফিঞ্চ জুটি।
পাওয়ার প্লের পরও নিজেদের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান আরসিবির দুই ওপেনার। অবশেষে অষ্টম ওভারে গিয়ে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। ৬৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ৩২ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। এরপর ক্রিজে আসেব বিরাট কোহলি। ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান কোহলি ও ফিঞ্চ জুটি। ১০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ৭৮ রানে ১ উইকেট। কিন্তু ১৩ ত ম ওভারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে ৪৭ রানে করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর নামেন ডিভিলিয়ার্স। ১৩ ওভারের মধ্যে ১০০ রান পূরণ করে ফেলে আরসিবি। ১৫ ওভার শেষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের স্কোর দাঁড়ায় ১১১ রানে ২ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ বাড়ানো শুরু করেন কোহলি ও ডিভিলিয়ার্স জুটি। ১৬ ওভারে আসে ১৮ রান। দুরন্ত ব্যাটিং করেন এবিডি। স্লগ ওভারে কার্যত বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে শুরু করেন এবিডি। ১৭ তম ওভারে প্যাট কামিন্সকে ১৯ রান মারেন ডিভিলিয়ার্স। ১৭ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৪৮ রানে ২ উইকেট। ১৮ তম ওভারে রাসেলকে পরপর একটি চার ও একটি বিশাল ছক্কা মেরে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন এবিডি। ২৩ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৮ ওভার শেষে স্কোর হয় ১৬৫ রান। ১৯ তম ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আসে ১২ রান। শেষ ওভারে রাসেলের বলে আসে ১৭ রান। ২০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১৯৪ রান। ৭৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নট আউট থাকেন ডিভিলিয়ার্স ও ৩৩ রান করে নট আউট থাকেন কোহলি। কেকেআরের টার্গেট ১৯৫ রান।