সংক্ষিপ্ত
- ভরা তিস্তায় ফের নৌকাডুবি
- উপস্থিত বুদ্ধির জোরে রক্ষা সাতজনের
- অক্ষত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করল প্রশাসন
- জলপাইগুড়ির ঘটনা
উত্তমা সরকার, জলপাইগুড়ি: ভরা তিস্তায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সাতজন। স্পিড বোট নামিয়ে রাতভর নদীতে চলে তল্লাশি। অবশেষে অক্ষত অবস্থায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকার সাত যাত্রীকেই উদ্ধার করল প্রশাসন। স্বস্তি পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি মালবাজারে।
আরও পড়ুন: ফের বজ্রপাতে মৃত্যু, মাঠে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। বিকেল মালবাজার ব্লকের দক্ষিণ চ্যাংমাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সোনু মিস্ত্রির নৌকায় চেপে তিস্তার নদীর ওপারে ভক্তের চড় এলাকায় গিয়েছিলেন সাতজন। ফেরার পথে ঘটে দুর্ঘটনা। তিস্তার প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনাটি নজরে পড়ে যায় নদীতে ভেসে থাকা অন্য নৌকার যাত্রীদের। বস্তুত, দুর্ঘটনার প্রাথমিকভাবে তাঁরা উদ্ধারকাজও শুরু করে দেন। কিন্তু নদীর স্রোত এতটাই ছিল যে, কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের আশঙ্কা ছিল, নৌকাটি যেভাবে ডুবেছে, তাতেও নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ঘটনা হল, শেষপর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় সন্ধান মিলল সকলেরই।
আরও পড়ুন: অমাবস্যায় সমুদ্রে ভরা কোটাল, বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল দিঘা
খবর পেয়ে সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। তিস্তার পাড়ে চলে যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও। রাতভর নদীতে স্পিটবোট নামিয়ে চলে তল্লাশি। রাতের দিকে জানা যায়, দুর্ঘটনার পর উল্টো যাওয়ার নৌকার উপর কোনওমতে নিজেদের ভাসিয়ে রেখেছিলেন সাতজন যাত্রী এবং ভাসতে ভাসতে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন ময়নাগুড়ি ক্রান্তি এলাকার মহামারী চর এলাকায়। রাতে স্থানীয় একজনের বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে ওই সাতজনকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে কোতুয়ালি থানার পুলিশ।