সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহে লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবি
- রাতভর অধ্যক্ষকে ঘেরাও পড়ুয়াদের
- আন্দোলনের চাপে স্থগিত হয়ে গেল পরীক্ষা
- জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজের ঘটনা
উত্তমা সরকার, জলপাইগুড়ি: আন্দোলনের চাপ তো ছিলই, পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রের আবার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাতভর ঘেরাও থাকার পর শেষপর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করে দিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ কীভাবে হবে? তাহলে কি ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে? অচলাবস্থা অব্যাহত জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজে।
আরও পড়ুন: ফের অগ্নিকাণ্ড উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে, নার্সদের তৎপরতায় রক্ষা পেল শিশুরা
ঘটনাটি ঠিক কী? জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজটি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স-এর অধীনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল বি-ফার্মের ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের। কিন্তু করোনা আতঙ্কে কলেজে আসবেন কী করে? পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলনে নামেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, লিখিত পরীক্ষা বাতিল করতে হবে এবং আগের সেমিস্টারের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ণ করতে হবে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কলেজের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এরপর জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজে অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহরায়কে রাতভর ঘেরাও করেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে মহিলার উপর ওঝার অত্য়াচার, কালনায় ঝাড়ফুঁকে অসুস্থ মহিলা হাসপাতালে ভর্তি
এদিকে আবার পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরাও ওই পড়ুয়ার সংস্পর্শে এসেছেন। সেক্ষেত্রে নিয়মমাফিক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাঁদের। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত একপ্রকার বাধ্য হয়েই মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা স্থগিতের কথা ঘোষণা করেন জলপাইগুড়ি ফার্মেসি কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহরায়। স্বীকার করে নেন, 'বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়।'
শুধু তাই নয়, যেসব পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন, তাঁদের সকলের করোনা টেস্ট করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে অনুরোধ করেছেন অধ্যক্ষ। তাহলে কি আগের সেমেস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণ হবে? সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে লিখিতভাবে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ আসেনি। বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহার করতে নারাজ পরীক্ষার্থীরা।