সংক্ষিপ্ত
- ডুয়ার্সে বিপন্ন বন্যপ্রাণ
- খাবারের সন্ধানে চা বাগানে ঢুকে মৃত্যু
- বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল পূর্ণ বয়ষ্ক হাতির
- ঘটনায় ক্ষুদ্ধ পশুপ্রেমীরা
উত্তমা সরকার, জলপাইগুড়ি: খিদের জ্বালায় বৃষ্টির মাঝেই ঢুকে পড়েছিল চা-বাগানে। গাছ থেকে কাঁঠাল খেতে গিয়ে ফের বিদ্য়ুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল একটি পূর্ণবয়ষ্ক হাতির। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা বাগানে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা, লাল সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস
মঙ্গলবার রাতে তখন মুষলধারায় বৃষ্টি পড়ছে। ডায়নার জঙ্গল থেকে একটি হাতি ঢুকে পড়ে বামনডাঙা চা বাগানে। কারও গাছের কলা, তো কারও বাগানের চা শাকসবজি খেয়ে রাতভর তাণ্ডব চালায় হাতিটি। ভোরের দিকে হাতির প্রবল আর্তনাদ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সকালে চা বাগানে হাতিটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চা বাগান লাগোয়া রাস্তা কাঁঠাল গাছে নিচ দিয়েই চলে গিয়েছে বিদ্যুৎবাহী তার। শুড় দিয়ে গাছটি ধরতে গিয়ে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয় হাতিটি। বিদ্যুতের তারটি জড়িয়ে গিয়েছিল শুড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় নাগরাকাটা থানায় ও বনদপ্তরের খুনিয়া রেঞ্জের অফিসে। বনদপ্তর সূত্রে খবর, জঙ্গলে ভিতরে নিয়ে গিয়ে হাতির দেহটির ময়নাতদন্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে করোনা ছোবল, আক্রান্ত বিধায়ক উদয়ন গুহ
উল্লেখ্য. ইদানিং ডুয়ার্সের চা বাগানে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু বাড়ছে। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া এলাকার রামঝোড়া চা বাগানে ঢুকে পড়েছিল দুটি হাতি। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় একটি হাতি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল জলপাইগুড়িতেও।