সংক্ষিপ্ত

ধৃতদের নাম মণীশ কুমার ঝা, কার্তিক কুমার, প্রিয়াংসু শর্মা, রাকেশ কুমার ও দীপক কুমার। অভিযুক্তরা সবাই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তাঁরা। 
 

সাইবার প্রতারকরা (Cyber Crime) নিজেদের জাল ছড়াচ্ছে কলকাতায় (Kolkata)। প্রতিদিনই কোনও না কোনও নতুন ফাঁদ পেতে সাধারণ মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আর এবার সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন প্রাক্তন এক আইএএস অফিসার (IAS Officer)। অনলাইন শপিং (Online Shooping) সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে ওই অফিসারকে প্রতারণা করা হয়। এই ঘটনায় ভিন রাজ্যের ৫ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিশ (police)। 

৮০ বছরের বৃদ্ধ সল্টলেকের বাসিন্দা পি কে ভর্মা বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় (Bidhannagar Cyber Crime police station) অভিযোগ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, কোনও এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি তাঁকে দুটি নম্বর থেকে ফোন করে নিজেকে একটি অনলাইন শপিং সংস্থার এগজিকিউটিভ পরিচয় দিয়েছিলেন। এরপর অফারে একাধিক জিনিস কিনিয়ে দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু টাকা চেয়েছিলেন প্রতারক। প্রায় ৪০ হাজার ৬৮৬ টাকা প্রতারকের বলে দেওযা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। অভিযোগ, সেই টাকা দেওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রতারক। কোনওভাবেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে বৃদ্ধ যোগাযোগ করতে উঠতে পারেননি। এমনকী, অর্ডার দেওয়া সেই দব্যও পাননি প্রাক্তন ওই আইএএস। বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।  

আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতায় ভেঙে পড়ল বাড়ি, ধ্বংসস্তূপের তলায় ১ শিশু সহ আটকে ২

সঙ্গে সঙ্গে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিকে ভর্মা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এবং গলফ গ্রিন এলাকায় অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকেই এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। 

আরও পড়ুন- দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্নে বৈঠক মমতার, ২ জেলায় জারি লাল সতর্কতা

ধৃতদের নাম মণীশ কুমার ঝা, কার্তিক কুমার, প্রিয়াংসু শর্মা, রাকেশ কুমার ও দীপক কুমার। অভিযুক্তরা সবাই বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তাঁরা। 

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত রাকেশ এবং কার্তিক ওই অনলাইন সংস্থার কর্মী। বাকি তিনজন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট প্রোভাইডার নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন। এই গ্যাং সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন মানুষকে একই পদ্ধতিতে প্রতারণা করত। ধৃতদের থেকে ১৯টি এটিএম কার্ড, ৪টি প্যান কার্ড, ৬টি সিম, ৪টি মোবাইল ফোন, একটি রাউটার, ব্যাঙ্ক পাশবুক, চেক বই ও আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- দুর্যোগের মধ্যেই ভোট, ভবানীপুরে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে নৌকা-রেনকোটের

আজ অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, কবে থেকে তারা এই কাজ শুরু করল এ সবই খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।

YouTube video player