সংক্ষিপ্ত
নির্বাচনের আগের দিন সকাল থেকেই সব জায়গায় প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জারি ১৪৪ ধারা। কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
রাত পোহালেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন (Bhabanipur By election)। এছাড়া মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দুটি আসন সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে (Samserganj and Jangipur Election) নির্বাচন রয়েছে। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচন। আর সেদিকেই নজর রয়েছে গোটা রাজ্যের। এদিকে ভোটের আগের দিন নিম্নচাপের (Depression) জেরে নাগাড়ে বৃষ্টি (Heavy Rain) হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিভিন্ন জেলায়। বাদ যায়নি কলকাতাও (Kolkata)। মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন (Water Logged) কলকাতার একাধিক এলাকা। এই পরিস্থিতিতে তিন কেন্দ্রে ভোট করাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগের দিন সকাল থেকেই সব জায়গায় প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জারি ১৪৪ ধারা। কলকাতা পুলিশ কমিশনার (Police Comissioner) সৌমেন মিত্র নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সব বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force) থাকবে।
এছাড়া বৃষ্টির মধ্যে ভোটের কথা মাথায় রেখে আরও কয়েক দফা বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। তিন আসনের সব বুথেই শেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইভিএম মেশিনকে (EVM Machine) নিরাপদে রাখার জন্য স্বচ্ছ পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হবে। ওই মেশিনের মধ্যে যাতে জল ঢুকে না যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রত্যেক ভোট কর্মীকে দেওয়া হচ্ছে রেনকোট (RainCoat)। ভবানীপুরে পাম্পিং স্টেশন (Pumping Station) চালু রাখা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে অতিরিক্ত পাম্প। কোনওভাবে যাতে জল না জমে তার জন্য আগে থেকেই ওই কেন্দ্রের কর নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নৌকার ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। যাতে তিন ফুটের বেশি জল জমলেই সেগুলি ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন- দুর্যোগ এড়াতে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার অনুরোধ, মুর্শিদাবাদে মাইকিং তৃণমূলের
ভোট দিতে এসে যাতে ভোটারদের ভিজতে না হয় তার জন্য বিশেষ ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হন সেদিকও খেয়াল রাখছে প্রশাসন। সিইএসসিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা মেনে নির্বাচনের আয়োজন করতে বলা হয়েছে বলে আধিকারিকদের।
আরও পড়ুন- আহিরীটোলার ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার ৩ বছরের শিশুর দেহ, মৃত ২
বুধবার থেকেই ভবানীপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম। এছাড়া কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে জলমগ্ন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করবেন সেক্টর অফিসাররা। পাশাপাশি জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জেও শুরু হয়েছে ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম এবং অন্যান্য সামগ্রীর বণ্টন প্রক্রিয়া। জঙ্গিপুর পলিটেকনিক কলেজে ভোটের সরঞ্জাম সংগ্রহ থেকে সমগ্র ভোট প্রক্রিয়া বুঝে নিচ্ছেন ভোট কর্মীরা। ভোটের কাজে ব্যবহৃত সব জিনিসকে প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। গাড়ি ও বাসে করে ভোট কর্মীদেরকে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
আরও পড়ুন- 'প্রধানমন্ত্রী বাঙালিদের ওপরে ভরসা করছেন না', দিল্লি থেকে শহরে ফিরে তোপ বাবুলের
মঙ্গলবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি চলবে বলে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। কোনও সমস্যা হলে টোল ফ্রী নম্বরে (১৯১২১) জানাতে বলা হয়েছে।