সংক্ষিপ্ত

  • ঝড় জল অতিক্রম করে যে বাড়ি মাথা উঁচু করে প্রায় ২০০ বছরের বেশি দাঁড়িয়ে ছিল, তাতেই হঠাৎ ফাটল ধরল।
  • কলকাতার এস এন ব্যানার্জী রোডে ২০০ বছর ধরে রয়েছে রানি রাসমণীর বাড়ি। 

ঝড় জল অতিক্রম করে যে বাড়ি মাথা উঁচু করে প্রায় ২০০ বছরের বেশি দাঁড়িয়ে ছিল, তাতেই হঠাৎ ফাটল ধরল। কলকাতার এস এন ব্যানার্জী রোডে ২০০ বছর ধরে রয়েছে রানি রাসমণীর বাড়ি। এই ২০০ বছরে ভূমিকম্প, ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুযোর্গও কিছু করতে পারেনি এই বাড়ির। কিন্তু পুর্ব পশ্চিম মেট্রোর কাজের জন্য মাটি খুড়ে বসানো রয়েছে একটি ভাইব্রেটর। আর তার ফলেই পুরো বাড়িটি জুড়ে এক বড় ফাটল ধরেছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধেয় প্রথম এই ফাটল দেখা যায়। ফাটলের পরিমাণ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে সেদিনই মাঝ রাতে ওই বাড়িতে বসবাসকারী লোকজলকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়। 

ওই বিশাল প্রাসাদপ্রমাণ  বাড়িতে ৫২ জন মানুষের বাস। মোট ৪৮টি ঘর রয়েছে সে বাড়িচে। বাড়ির যে অংশে ফাটল ধরেছে সেদিকে ১৩ জন সদস্য থাকতেন। তাঁদের মধ্যে একজন ৯২ বছরের বৃদ্ধা। সেদিন রাত ১.৩০ মিনিট নাগাদ কাছেরই একটি হোটেলে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। 

পরিবারের এক তরুণ বংশধর সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, কলকাতা মেট্রো রেল করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররা গত চার মাস ধরে বাড়িটি পরীক্ষা করে দেখছেন। তাঁরাই বলছেন মেট্রোর কাজ হওয়ার ফলে ভাইব্রেটর থেকে বাড়িটি কাঁপে। সেই থেকেই ফাটল ধরেছে। বাড়ির বেশ কয়েকটি সাবেকী অংশের উপরেও এর প্রভাব পড়েছে। কিন্তুউ বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬
টা পর্যন্ত ইঞ্জিনিয়াররা বলছিলেন সব কিছু ঠিক আছে। কিন্তু তার পরে দেখা যায় দক্ষিণ পশ্চিম চত্বরের খিলানে একটি বড়় ফাটল ধরেছে। তবে শুধু খিলান না। একতলার দেওয়াল থেকে ছাদ পর্যন্ত প্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমার কাকিমার ঘরে সেদিন হঠাণ একটি প্লাস্টারের টুকরো পড়লেই আমাদের সতর্ক করা হয়। 

এর পরে বাড়িটির মার্বেল করা মেঝের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই ছাদের ঠিক নীচ দিয়ে একটি জাল বিছানো হয়। যাতে কোনও টুকরো উপরে থেকে পড়লে সেই জালেই পড়ে। বাড়ির খিলান থেকে ছাদ পর্যন্ত এই ফাটলের মাপ প্রায় ২৭ ফুট।