সংক্ষিপ্ত
- ' খরিদ্দার ' নেই, তাই টান পড়েছে বিশ্বের আদিমতম পেশায়
- সোনাগাছি খাঁ-খাঁ করছে, হাঁড়ি চড়ছে না যৌনকর্মীদের ঘরে
- এগিয়ে এলো একটি পাঁচজনের একটি ফেসবুক গ্রুপ
- মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ভেতর ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা অনুদান জোগাড় করলো তারা
লকডাউনের মরশুমে 'খরিদ্দার' নেই। তাই টান পড়েছে বিশ্বের আদিমতম পেশায়। যৌনপল্লী খাঁ-খাঁ করছে। হাঁড়ি চড়ছে না সোনাগাছিতে। এই পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এলো পাঁচজনের একটি ফেসবুক গ্রু। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ভেতর তারা জোগাড় করে ফেলল ১লাখ ১৬ হাজার টাকার অনুদান!
গ্রুপের পক্ষ থেকে নির্মাল্য় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, "আমাদের একটা পাঁচজনের টিম রয়েছে ফেসবুকে। আমরা লেখালেখি করি। আমরা সেখানে বলেছিলাম, এই যে লকডাউন থাকবে, এই সময়ে মানুষকে আমরা এনটারটেইন করবো। বিভিন্ন জোক লিখে, গল্প লিখে, ভিডিয়ো করে পোস্ট করবো। তা এই সময়ে যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার-এর তরফ থেকে আমাদের কাছে একটা আবেদন আসে। তখনই আমরা ফেসবুকে আর হোয়াটসআপ গ্রুপে আবেদন করি, আমরা যে এনটারটেইন করছি, তার বদলে আমরা যৌনকর্মীদের জন্য় এই সাহায্য়টুকু চাইছি। তারপর থেকেই টাকা আসতে শুরু করে। মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ভেতর ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা উঠে যায়।"
আপাতত অনুদান নেওয়া বন্ধ করেছেন নির্মাল্য়রা। যে টাকা উঠেছে, সেই টাকা দিয়ে তাঁরা কিনেও নিয়েছেন চাল, আলু, সাবান আর স্য়ানিটারি ন্য়াপকিন। সেইসঙ্গে কিছু মাস্ক। শনিবার সোনাগাছির ৫০টি পরিবারের হাতে তাঁরা তুলে দেন পাঁচকেজি করে চাল, দুকেজি করে আলু, দুটো করে সাবান, এক প্য়াকেট স্য়ানিটারি ন্য়াপকিন। আর সেইসঙ্গে দুর্বার সমিতির হাতে দুশোটা মাস্ক তুলে দেওয়া হয়। ওঁদের এই উদ্য়োগে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। "কেনাদামে আমাদের আলু বেচেছেন একজন। যাঁর গাড়িতে করে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয় যাতায়াতের জন্য় একটা পয়সাও নেননি তার মালিক।" জানালেন নির্মাল্য়।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির তরফ থেকে তরুণ বসু জানালেন, "দেখুন, যৌনকর্মী ও তাঁদের পরিবার পরিজন মিলিয়ে সোনাগাছিতে সবমিলিয়ে দশহাজার মানুষের বাস। এদের ভেতর বড়জোর কিছুজনের হাতে টাকা রয়েছে। বাকিরা একেবারে নিঃস্ব। নির্মাল্য়রা যে এগিয়ে এসেছেন তাতে আমরা খুশি। আমরাও একটা আবেদন করেছি। সেখানেও বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।"