সংক্ষিপ্ত
- একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল
- এবার অভিষেকের নজর বাংলার বাইরে
- বলেন, "যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব"
- তবে কোন রাজ্যে যাবেন তা স্পষ্ট করেননি
সম্প্রতি দলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। আর এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জাতীয় স্তরে দল কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোবে তা স্পষ্ট না করলেও, নিজেদের লক্ষ্য স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। বলেন, "যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব"।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফের জোরাল হাওয়া তৈরি হয়েছে রাজ্যে। আর সেই হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে অন্য রাজ্যেও দল বিস্তার করতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এরপর তাঁরা কোন রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বেন সেই বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করে কিছু বলেননি অভিষেক। তবে এখন কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও এক মাসের মধ্যেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "এটা অন্য তৃণমূল। এখন আর আমরা শুধুমাত্র ভোট শতাংশ বাড়ানোর জন্য অন্য রাজ্যে ভোটে লড়ব না। আমাদের লক্ষ্য হবে অন্য রাজ্যেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল গড়ার। যদি কোনও রাজ্যে ভোটে লড়তে যাই তবে একটি দুটি আসনের জন্য যাব না। ভোটের শেয়ার বাড়াতেও যাব না। যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব।"
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাংলায় বিপুল জয় পেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার পর ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি-কে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে ঝাঁপাতে পারে তৃণমূল। অতীতেও ত্রিপুরায় নির্বাচনে লড়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তারা। তবে এবার অন্য কোনও রাজ্যে লড়ার সময় তাঁরা জোট করবেন কি না সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মুখ মমতা। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে তিনি যে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন সেখানে অনেক রাজনৈতিক দলকেই পাশে পেয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্য থেকে শুভেচ্ছা এসেছে। অনেক রাজনৈতিক দল আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সবাই জানেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"