সংক্ষিপ্ত

  • নবান্নের সভাঘরে মাছির উপদ্রব
  • জীবাণুনাশক স্প্রে করলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • মাছির উপদ্রবে বিরক্ত হয়ে ওঠেন তিনি
  • হাত দিয়েই মাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেন

নবান্নের সভাঘরে তখন সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক বাতিলের ঘোষণা এবং ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে ক্ষয়ক্ষতি ও সমস্যার সুরাহা সমাধানের জন্য বৈঠক করছিলেন তিনি। আর বৈঠকের মাঝেই তাঁকে বিরক্ত করতে শুরু করে মাছি। খানিক বিরক্ত হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বৈঠকের শুরুর দিকে সবই ঠিক ছিল। কিন্তু, মাঝামাঝি সময় মাছির উপদ্রপে নাজেহাল হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো বিরক্ত হয়ে কথা বলতে বলতেই টেবিলের নিচে থেকে জীবাণুনাশক স্প্রে বের করেন। আর তা ছড়িয়ে দেন টেবিলের উপর। 

আরও পড়ুন- বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

তাতে কিছুক্ষণের জন্য মাছির উপদ্রব বাগে আনা গেলেও ফের মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উড়তে শুরু করে তারা। এরপর টেবিলের নিচে থেকে স্যানিটাইজার বের করে তা টেবিলের উপর স্প্রে করে দেন। তারপর কথা বলতে বলতে হাত দিয়েই মাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু, কোনওভাবেই বাগে আনা যায়নি মাছিকে। সারাক্ষণ এদিক ওদিক উড়ছিল তারা। এরপর খানিক বিরক্ত হয়ে বৈঠকে আধিকারিকদের দিকে তাকিয়ে বলেন, "খুব মাছি এখানে"। মাছির উপদ্রবের কথা শুনে উপস্থিত ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো একাধিক মন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ একাধিক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা প্রত্যেকেই একে অপরের মুখের দিকে তাকান। তবে বৈঠকের শেষের দিকে আর মাছির উপদ্রব লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যে এবছরের মতো বাতিল হয়ে গেল মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞ কমিটির এবং জনগণের মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে মার্কশিট তৈরি করা হবে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।