সংক্ষিপ্ত
- সালিশি সভায় ছেড়ে দেওয়া হল আবাসিক হোমে নাবালিকা যৌননিগ্রহের মূল অভিযুক্তকে
- আইনি পক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই ছাড় পেয়ে গেল রকিবুল শেখ
- মহিলাদের হোম হওয়া সত্ত্বেও বহু পুরুষ কর্মী ইদানীং ওই বাড়িতে থাকত
- তাঁতের কাজের জন্য রাখা এক কর্মীই গত ১৭তারিখ ৭ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে
সরশুনা থানার সালিশি সভায় ছেড়ে দেওয়া হল আবাসিক হোমে নাবালিকা যৌননিগ্রহের মূল অভিযুক্তকে। আইনি পক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই ছাড় পেয়ে গেল রকিবুল শেখ।এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মহিলাদের হোম হওয়া সত্ত্বেও বহু পুরুষ কর্মী ইদানীং ওই বাড়িতে থাকত। এরকম তাঁতের কাজের জন্য রাখা এক কর্মীই গত ১৭তারিখ ৭ জন ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে।
যখন মেয়েগুলো পরিবারের লোকজনকে পুরো বিষয় জানায়,পরিবারের লোকজন এসে এই হোমের মেট্রন সুনীতা দেবীকে পুরো বিষয়টি জানান। তিনি অবিভাবকদের অনুরোধ করেন, থানায় কোনও রকম অভিযোগ না করতে। তিনি সমস্ত বিষয়টি দেখছেন । মেট্রনের ওপর আস্থা না থাকায় পুরো বিষয়টি পরিবারের লোকজন সরশুনা থানায় গিয়ে জানায়। ক্যামেরার সামনে হোম-এর মেট্রন সুনিতা দেবী পরিষ্কার বলেন, সরসুনা থানার পুলিশ সালিশি সভায় অভিযুক্তকে ক্লিনচিট দিয়েছে । তারপর হোম থেকে অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ছাত্রীদের কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়নি। মেট্রন দাবি করেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাদের মেয়েদের নিয়ে এখান থেকে চলে গেছেন। কিন্তু হোমের প্রতিবেশী একজন মহিলা বলেন, ওই ছাত্রীদের হোম থেকে জোর করে চলে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, মহিলাদের হোম হওয়া সত্ত্বেও এখানে একজন পুরুষ থাকত। তিনি নিজে চোখে সেই পুরুষ কর্মীর বিছানা দেখে এসেছেন। পাশাপাশি সরশুনা থানার ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। অনন্যাদেবী বলেন, থানায় অভিভাবকদের অভিযোগ গ্রহণ না করে অভিভাবকদের থেকে জোর করে মুচলেখা নেওয়া হয়েছে। এই বলেই থেমে থাকেননি তিনি।
অনন্য়াদেবী বলেন, শিশুদের যেখানে সম্মানহানি হয়েছে সেখানে কোনও ইনভেস্টিগেশন ছাড়া অভিযুক্তকে সরশুনা থানা কীভাবে ছেড়ে দিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু না করেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। যেখানে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সবসময় চাইছেন শিশু সুরক্ষা আরও জোরদার করতে, সেখানে সরশুনার এই হোম এবং সরশুনা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। জানা গেছে, আগামীকাল সরশুনা থানার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাবেন তিনি। এ বিষয়ে জানাবেন মন্ত্রী শশী পাঁজাকেও।