সংক্ষিপ্ত
বুধবার সন্ধ্যেবেলা প্রথমে নিহত ছাত্র অভিষেক নস্করের বাড়িতে যান মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী ও সৃজন ভট্টাচার্য। মৃতের ছবিতে মালা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পরে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা এই বিষয়টায় রাজনীতি চাইছেন না।
বাগুইআটি জোড়া খুনকাণ্ডে নিহতদের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বাম নেতাদের। বুধবার নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সিপিএমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং রাজ্য কমিটির সদস্য সৃজন ভট্টাচার্য। অভিষেক ও অতনু দুজনের পরিবার ও পড়শিদের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা এরমধ্যে রাজনীতি চান না।
বুধবার সন্ধ্যেবেলা প্রথমে নিহত ছাত্র অভিষেক নস্করের বাড়িতে যান মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী ও সৃজন ভট্টাচার্য। মৃতের ছবিতে মালা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। পরে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁরা এই বিষয়টায় রাজনীতি চাইছেন না। এরপর অভিষেকের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় তাঁদের। বাইরেও স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সিপিএম নেতৃত্বকে।
যদিও এবিষয় মহম্মদ সেলিম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমার গিয়েছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তৃণমূল যা করার তাই করেছে। আমরা এ বার অতনুদের বাড়িতে যাচ্ছি।"
প্রসঙ্গত, বুধবার নিতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন স্থানীয়েরা।
এদিন তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতি নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয়রা। যদিও পরে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারের সঙ্গে কথা বলে অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - জোড়া খুনের ঘটনায় তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ, সাসপেন্ড বাগুইআটি থানার আইসি
পরিবারসূত্রে জানা যাচ্ছে ২২ অগাস্ট থেকেই খোঁজ মেলেনি ওই দুই ছাত্রের। নিখোঁজ দুই পড়ুয়া অভিষেক নস্কর ও অতনু দে। অভিষেকের বয়স ১৬ বছর এবং অতনুর বয়স ১৭ বছর। দুজনেই হিন্দু মহাবিদ্যাপীঠে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বাগুইআটির আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অভিষেক ও অতনুর খোঁজ না মেলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল নিকটবর্তী থানায়। নিহত ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে প্রথমে এক লাখ ও পরে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে তাদের কাছে। এরপর ২২ অগস্টই সন্ধ্যায় ন্যাজাট থানা এলাকায় এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন ২৩ অগাস্ট মিনাখাঁ এলাকায় মেলে আর একজনের দেহ।
তদন্তে জানা গিয়েছে ২২ তারিখ, নিজের গাড়িতেই ওই দুই পড়ূয়াকে নিয়ে যান সত্যেন। তারপর যান রাজারহাটের একটি মোটরবাইকের দোকানে। সেখান থেকে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বেড়িয়ে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর গাড়ির মধ্যেই দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।