সংক্ষিপ্ত

 

  • হায়দরাবাদে নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষকে
  • মহিলাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন পুরুষরা
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ফোন-নম্বর পোস্ট
  • উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে মহিলারাও  

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি করছেন সকলেই।  এ রাজ্যে কিন্তু মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও উদ্যোগ নিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ফোন নম্বর-সহ পোস্টে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।

এখনকার ছেলেমেয়েদের মানবিকতা নেই। বিপদে-আপদে কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি। নিন্দুকেরা এমন কথা হামেশাই বলেন। এমনকী, ধর্ষণের মতো অপরাধে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতির মিছিলের সমালোচনাও শোনা যায়।  একথা অস্বীকার করারও তো উপায় নেই, স্রেফ পুলিশি ঝামেলার ভয়েই  বিপদগ্রস্ত মানুষ কিংবা অসহায়দের সাহায্য করতে চান না অনেকেই।  হায়দরাবাদে নৃশংসতা কিন্তু ছবিটা পালটে দিয়েছে এক ঝটকায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন অনেকে, তেমনি রাত-বিরেতে সমস্যায় পড়লে মহিলাদের সাহায্য করতেও এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠন, এমনকী সাধারণ মানুষও।  কোন এলাকায় বিপদে পড়লে সাহায্য মিলবে, কোন নম্বরে ফোন করতে হবে, সে তথ্যও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব পোস্টও শেয়ার হচ্ছে ঝড়ের গতিতে। ছড়িয়ে পড়ছে একজনের ওয়াল থেকে আর একজনের ওয়ালে। পোস্ট নিচে কমেন্ট করে কিংবা পোস্টটি নিজের ওয়ালে শেয়ার করে এমন মহান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মহিলারাও।  পিছিয়ে নেই কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের নৃশংসতায় একজোট সব দল, আরও কঠোর আইন আনতে তৈরি সরকার

ভিড়ে বাসে কখনও সহযাত্রীর অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা, তো কখনও খোলামেলা পোশাক পরার জন্য টিটকিরি। পথে-ঘাটে চলাফেরা করতে গিয়ে নানাভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় মহিলাদের। আর চাকরি সুবাদে যাঁদের বেশি রাতে বাড়ি ফিরতে হয়, তাঁদের বিপদও তো আর বেশি।  এই প্রেক্ষাপটেই হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের মানুষকে। এবার আর প্রশাসন কিংবা পুলিশের ভরসায় না থেকে নিজেদের এলাকার মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এগিয়ে এলেন তাঁরা।  

উল্লেখ্য, নদিয়ার নবদ্বীপে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছে পুলিশও। 'নট অ্যালোন' নামে একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলেছে নবদ্বীপ থানায়। প্রাথমিকভাবে এই গ্রুপে ৫০ জন স্থানীয় মহিলাকে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  থানার তরফে জানানো হয়েছে, পথে-ঘাটে যেকোনও রকমের বিপদে পড়লে, হোয়াটসঅ্যাপে মারফৎ সরাসরি থানায় জানাতে পারবেন এলাকার মহিলারা। নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ ২৫০ জন গ্রুপের সদস্য হতে পারবেন।  কাদের সদস্য করা হবে, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে তালিকা তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।