সংক্ষিপ্ত

  • একেবারে অভিনব প্রতিবাদ।
  • দীর্ঘদিন পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
  • প্রতিবাদে পুজোর মণ্ডপে বাতি না জ্বালানোর সিদ্ধান্ত
  • কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর  ওয়ার্ডের পুজো মণ্ডপ আজ বাতিহীন।


একেবারে অভিনব প্রতিবাদ। দীর্ঘদিন পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এবার দুর্গাপুজোর মণ্ডপে বাতি না জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসভার ১২৭ নম্বর  ওয়ার্ডের পুজো মণ্ডপ আজও বাতিহীন।

চারিদিকে আলোর রোশনাই। অথচ কলকাতা পুরসভার ১২৭ নং ওয়ার্ডের নস্করপাড়ার পুজো মণ্ডপে জ্বলল না আলো। এলাকার ১ন়ং বাইলেনে পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে বাড়ি ও পাড়ার পুজো মণ্ডপে প্রদীপ না জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকার বাসিন্দাদেরে অভিযোগ, পুর প্রতিনিধি হিসাবে জয়লাভের পরই এলাকায় জলা জমির ভিতর দিয়ে একটি রাস্তা তৈরি করেন পুরপিতা। মূলত ওই জমি দিয়ে ১ নং নস্করপাড়ার প্রায় হাজার দুয়েক মানুষের ব্যাবহৃত  জল হাই ড্রেনে গিয়ে পড়ত । নির্মিত পিচের রাস্তায় কোনও  কালভার্ট না থাকায় জল যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ । ড্রেনগুলোকে হাই ড্রেনে সংযোগের কথা থাকলেও  অভিযোগ, পুর প্রতিনিধি  নিহার ভক্ত  কোনও কিছুই করেননি।  জমা জল বের করতে একটা পাম্প বসালেও  তা মাত্র এক ঘণ্টা চালানো হয়।  এখনও সেখানে পানীয় জলের লাইন তৈরি করা হয়নি। হাজারের উপর মানুষের  পানীয় জলের জন্য ২ টো মাত্র কল,যা আজকের দিনেও জলের তলায় বলে অভিযোগ।

এখানেই থেমে নেই অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, যাতায়াতের রাস্তা জলে ডুবে আছে। দীর্ঘদিন জমে থাকা পচা জল প্লাবিত হওয়ায় এলাকায় মশাবাহিত রোগ, পেটের অসুখ ও চর্মরোগের প্রকোপ বাড়ছে।  মানুষের জনজীবন ব্যহত হচ্ছে,  শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। অধিবাসীরা  বহুবার অনুরোধ  করা সত্ত্বেও স্থানীয় পুরপিতা কোনও  গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা নাগরিক কমিটি (নস্কর পাড়া ১ নং বাইলেন, ১২৭ নং ওয়ার্ড) নামে একটি অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে এর প্রতিবাদে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এই অমানবিক পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পেতে  ডাকা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে।  এলাকাবাসীদের অভিযোগ এরপরই পুরপিতার অনুগামীদের তরপে তাঁদের হুমকি দেওয়া শুরু হয়।