সংক্ষিপ্ত
- জেল হেফাজতে থাকার সময় মৃত্যু হয়েছিল মদন ঘোড়ই-এর
- ইতিমধ্যেই আরও একবার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত
- মদনের পরিবারের অভিযোগ বিজেপি করার জন্য স্বামীর উপর অত্যাচার
- এর জন্য পটাশপুর-এর পুলিশের বিরুদ্ধে অঙুল তুলেছে তারা
রাজ্যে পা দিতেই নালিশ শুনে তাঁর বাংলা সফর শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই নালিশ তাঁর কাছে জমা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে। যা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ২৯ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অনুযোগ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই সাক্ষাৎ-এর পর থেকে রাজ্য বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু-র লাগাতার দাবি জানিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় রাজ্যে পা রেখেই অমিত শাহ-র কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ নিয়ে মদনের পরিবারের অভিযোগপত্র পেশ করাটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অমিত শাহ-র কাছে জমা করা অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, ২৬ জুলাই পটাশপুর থানা গ্রেফতার করে মদনকে। এরপর থেকে মদন ঘোড়ই বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই ছিল। ১৩ অক্টোবর তাদের জানানো হয় জেলের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মদনের। পটাশপুরের বিজেপি সংগঠনের সহ-সভাপতির পদ সামলাতেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য জেল হেফাজতেই পুলিশ অত্যাচার করেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে মদনের। ১৫ অক্টোবর এসএসকেএম মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে খুশি ছিল না। তারা এবার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তেরও দাবি ওঠে। ২০ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর শুনানি শেষে ৫ নভেম্বর ফের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরও মদনের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়নি। অভিযোগপত্রে সে কথাও উল্লেখ করা রয়েছে। ২১ দিন ধরে মর্গে পড়ে রয়েছে মদন ঘোড়ই-এর মৃতদেহ। এখনও সেই ময়নাতদন্ত হয়নি। রাজ্য সরকার এই আবেদনের পাল্টা যুক্তি তুলে ধরেছে আদালতে। কলকাতা বিমাবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে বসেই মদনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা। অমিত শাহ রাজ্য বিজেপি নেতাদের কাছ থেকেও বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। মদনের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার।
এদিকে, বিজেপি-র অভিযোগ, অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ বারবার মদনের পরিবারের রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে অনেক কষ্টে মদনের পরিবারকে অমিত শাহ-র সঙ্গে দেখা করতে পাঠানো হয়।