সংক্ষিপ্ত
তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের পরই জোর ধাক্কা বিজেপি শিবিরে।
তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের উপস্থিতিতে শনিবার আচমকাই পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন তিনি। অভিষেকের থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন বাবুল।
জল্পনাটা চলছিল বেশ অনেকদিন ধরেই। বাবুলের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আগেই। বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই একটু একটু করে অভিমান জমা হতে শুরু করেছিল তাঁর মনে। আর নির্বাচনের পরই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল করলে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছিল বাবুলকে।
আরও পড়ুন- 'তালিবান তো বাংলাতেই আছে', ভবানীপুরে 'গোপন প্রচার' নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
উল্লেখ্য, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দু'বার আসানসোল থেকে জিতে সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। দু’বারই প্রতিমন্ত্রীও হন। কিন্তু, পূর্ণ মন্ত্রিত্ব পাওয়া হয়নি তাঁর। আর এবার মন্ত্রিত্বের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা নিয়ে পোস্টও করেন। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর অনেকটা দূরত্ব তৈরি হয়।
তারপরই জুলাইয়ের শেষে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ। এমনকী, সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই সময় জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের অনুরোধে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তবে ইস্তফা না দিলেও সাংসদ হিসেবে আর কোনও সুবিধা নেবেন না বলে জানিয়ে ছিলেন। পাশাপাশি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলেও যাচ্ছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন, 'পুরুলিয়ায় আক্রান্ত ২৩৭ শিশু, আর উনি এখন নির্বাচনে ব্যস্ত', মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
এরই মধ্যে আবার বাবুলের নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা জেড থেকে ওয়াই ক্যাটেগরি করা হয়। আর সেটাই যেন আগুনে ঘি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের পরই সবাইকে চমকে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না। আর যখন দেখা গেল তখন তাঁর গলায় ঘাসফুল শিবিরের উত্তরীয়।
তবে উপনির্বাচনের আগে বাবুলের তৃণমূলে যোগ শুধুমাত্র বিজেপির কাছেই নয় তৃণমূলের কাছেও বড় চমক। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এমন চমক পাওয়া যাবে তা আশা করেননি অনেকেই। যদিও প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, বহু বিজেপি নেতা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সবাই তৃণমূলে যোগ দিতে চান। আর অবশেষে শনিবারই এল সেই চমক। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের পরই বড়সড় ধাক্কা দিলেন বাবুল। যোগ দিলেন শাসকদলে। এদিকে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচারে নামার কথা ছিল বাবুলের। যদিও প্রচারে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে রাজনীতি না ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেন বাবুল।