সংক্ষিপ্ত

  • মোদীর দেখানো পথেই হাঁটলেন বাবুল সুপ্রিয়
  • সিএএ-র প্রচারে পাকিস্তানকে হাতিয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী
  •  এবার গুরুর পথেই হাঁটলেন শিষ্য বাবুল সুপ্রিয়
  • রাজ্য়ে সিএএ-র প্রচারে  তুলে আনলেন দানিশ কানেরিয়া প্রসঙ্গ
     

মোদীর দেখানো পথেই হাঁটলেন বাবুল সুপ্রিয়। সিএএ-র প্রচারে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে পাকিস্তানকে হাতিয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার গুরুর পথেই হাঁটলেন শিষ্য। রাজ্য়ে নাগরিকত্ব আইনের প্রচারে মমতাকে মাত দিতে তুলে আনলেন দানিশ কানেরিয়া প্রসঙ্গ।

রাজ্য়ে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন পেতে লুঙ্গি সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ  ঘোষ। কারা সিএএ-র বিরোধিতায় আগুন জ্বালাচ্ছে বোঝাতে পোশাককেই অস্ত্র করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোশাক প্রসঙ্গ খুব একটা কার্য়কর হয়নি। উল্টে মোদীর বিরুদ্ধে পোশাককেই হাতিয়ার করেন মমতা। পরবর্তীকালে সিএএ নিয়ে মমতা  বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এবার বাংলায় সিএএ কার্যকর করতে পাকিস্তানের হিন্দু ক্রিকেটারের বক্তব্য়কেই মূল মন্ত্র করল বিজেপি। 

সাংবাদিক বৈঠকে মমতার বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের পাশাপাশি দানিশ কানিরিয়ার  নাম তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল বলেন, পাকিস্তানে হিন্দুরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার,তা দানিশ কানিরিয়ার বক্তব্য় থেকেই আমরা জানতে পেরেছি। উনিও ভারতের বুকে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের এই মিথ্য়ের খেলা দেখছেন। সবথেকে বড় কথা, হিন্দু হিসাবে দানিশ যে হেনস্থার শিকার  হয়েছিলেন  তা সমর্থন করেছেন খোদ প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। 

এই বলেই থেমে থাকেননি আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। টেনে এনেছেন পাকিস্তানে গুরু নানকের জন্মস্থানে গুরুদ্বার হামলার প্রসঙ্গ। বাবুল বলেন, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা কীভাবে উৎপীড়নের শিকার  হচ্ছেন , এই ঘটনাগুলিই তাঁর প্রত্যক্ষ প্রমাণ। সব দেখেও মমতা সরকার সিএএ-র বিরোধিতা করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। ভারতের মুসলিমদের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেন, পাক দলে হিন্দু বলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে পাক ক্রিকেটার দানেশ কানেরিয়াকে। দলে সতীর্থরা তার সঙ্গে খাবার খান না। দেশের জন্য ভালো ক্রিকেট খেললেও তার যোগ্য় সম্মান দেওয়া হয়নি দানেশকে। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রসের এই মন্তব্য় প্রকাশ্য়ে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে দুই দেশের রাজনীতিতে। সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে কানেরিয়া জানিয়েছেন, শোয়েবের বক্তব্য একেবারে ঠিক। তিনি হিন্দু হওয়ার জন্য় কোন কোন ক্রিকেটাররা তাঁর সঙ্গে খেতেন না তাদের নাম শীঘ্রই প্রকাশ করবেন  তিনি। কানেরিয়া জানিয়েছেন, অতীতে এই নিয়ে মুখ খোলার মত সাহস ছিল না তাঁর। কিন্তু এবার আর মুখ বুঁজে থাকবেন না তিনি।   

যদিও পরে নিজেই ভিডিয়ো করে সব কিছুর উত্তর দেন দানেশ। তিনি  বলেন, আমি হিন্দু বলে কারা আমার সঙ্গে খারাপ ব্য়বহার করেছিল, এটা শোয়েব ভাই ভালো করে দেখেছেন। তাই এই বিষয়ে উনি সব কিছু ভালো বলতে পারবেন। দানেশের এই মন্তব্য়ের পরই দুই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতর। সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারকে পাল্টিবাজ বলে মন্তব্য় করেছেন অনেকেই। যদিও অনেক ভারতীয় দাবি করেছেন,পাকিস্তানে সংখ্য়ালঘু হিন্দু বলে দানেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে প্রথমে হুংকার দিয়েও পরে ভোল বদল করলেন তিনি।