সংক্ষিপ্ত

 

ফের হাওড়ায় মাঠ থেকে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি আধার কার্ড। এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

মাটিতে পড়ে রয়েছে একবস্তা কাগজের মতো কি যেন! দেখে কৌতূহল হবে সকলেরই। খুলতেই দেখা গেল মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে বস্তাভর্তি আধার কার্ড। হ্যাঁ, ফের এমনটাই ঘটেছে হাওড়ায়। ফের হাওড়ায় (Howrah) মাঠ থেকে উদ্ধার হল বস্তাভর্তি আধার কার্ড। এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ডোমজুড়ের(domjure) পর এবার মঙ্গলবার দুপুরে জগৎবল্লভপুরের শঙ্করহাটি দু-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ব্রাহ্মণপাড়ায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার বস্তাভর্তি আধার কার্ড। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই বস্তায় প্রায় ৭০০টির বেশি আধার কার্ড(aadhar card) ছিল। তবে কোথা থেকে ওই আধার কার্ড ভর্তি বস্তা ওখানে এল। কারা ফেলে গেল তার সদুত্তর মেলেনি। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চায়েত কর্মীরা পাঁচিল গাথার সময় মাটি খুড়লে প্লাস্টিকের ব্যাগ ভর্তি আধার কার্ড উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা খবর দেয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস এবং জগৎবল্লভপুর থানায়। পুলিশ এসে আধার কার্ডগুলি উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

আরও পড়ুন - বিএসএফস বিতর্কে তোলপাড় বিধানসভা, উদয়নের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দিলীপের

ইতিমধ্যই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন হাওড়ার আগেই ডোমজুড়ে রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৫০ টি আধার কার্ড। পরপর এই ধরনের ঘটনা ঘটায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যেহেতু পোস্টাল ডিপার্টমেন্ট কেন্দ্রীয় সরকারের(central government) হাতে তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে হারাতে এই আধার কার্ড তৈরি হয়। এর পিছনে বিজেপির(BJP) বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে। এমনকী গেরুয়া শিবিরের তরফে পাল্টা আঙুল তোলা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের(trinamool) দিকে।

আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে খোশমেজাজে মদন, নাতিকে নিয়ে কলকাতার রাস্তাতেই চাপলেন টয় ট্রেন

তবে এর পিছনে কোনও আসাধু চক্র জড়িত আছে কিনা সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে বিভিন্ন মহলে। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে নতুন কোনও ফাঁদ পাতা হয়েছে কিনা তা নিয়েও বাড়ছে ধোঁয়াশা। তবে আধার কার্ডে যে সমস্ত ব্যক্তিদের নাম রয়েছে তাদের ঠিকানা ধরেও খোঁজ চালানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সেখান থেকে এই রহস্যের কোনও জট খোলে কিনা এখন সেটাই দেখার। তবে পুরভোটের(Municipal Polls) মুখে বারবার এই ধরণের ঘটনায় ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ।