সংক্ষিপ্ত
চলতি বছরে মেয়াদ শেষ হলেও এখনও অবধি পুরভোট হয়নি রাজ্যে। মহামারীর কারণে নির্বাচন করা যায়নি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত পুরসভার (Municipal Polls) নির্বাচন নিয়ে রাজ্য (WestBengal) ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) কী ভাবনাচিন্তা করছে। হলফনামার (affidavit) মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানাতে হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ পুরভোট নিয়ে দ্রুত তথ্য জানাতে হবে। এফিডেভিটের মাধ্যমে আদালত রাজ্য সরকারের কাছে পুরভোট সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়েছে।
এদিন যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়, তার প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, দেড় বছরের ওপর মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভা এখনও রয়েছে, যা অসাংবিধানিক। পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেই নির্বাচন করতে হয়। সেখানে এত সময় পেরিয়ে গিয়েছে একাধিক পুরসভার। এদিন এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে আদালত বলে একসঙ্গে সব পুরভোট করানোর প্রয়োজন রয়েছে। করোনা মহামারীর প্রেক্ষিতে আলাদা আলাদা নির্বাচনের তারিখ পড়লে, তা সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকির হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
Imran Khan-সেনা-সরকারের মাঝে পিষছেন ইমরান,পদত্যাগ করতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
হাইকোর্ট জানতে চায় রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি একসাথে নির্বাচন করতে চায়? কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে জানিয়েছে রাজ্য চাইলে তারা একসাথে সমস্ত পুরসভার নির্বাচন করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের এই নির্দেশ। আগামী ২৪শে নভেম্বরের মধ্যেই হলফনামা জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ।
পাশাপাশি এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতকে আশ্বস্ত করা হয়, আদালতকে না জানিয়ে তারা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না। উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বরই পুরভোট কলকাতা-হাওড়ায়। রাজ্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল যে, কলকাতার ১৪৪ টি এবং হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহন হবে ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার। রাজ্যের প্রস্তাবে কোনও আপত্তি জানায়নি কমিশন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরে মেয়াদ শেষ হলেও এখনও অবধি পুরভোট হয়নি রাজ্যে। মহামারীর কারণে নির্বাচন করা যায়নি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। বিধানসভা উপনির্বাচনের পর পুরসভা নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কলকাতা, হাওড়া নির্বাচন আগে এবং বাকিগুলি পরে অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে রাজ্যের মোট ১১৬ টি পুর নিগম এবং পুরসভার ভোট বাকি আছে। কিন্তু প্রথমে মাত্র দুটি পুরনিগমে ভোট করতে চেয়েছে রাজ্য।
"