সংক্ষিপ্ত
চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালকে। এমনকী প্রয়োজনে মাদ্রাসা বন্ধেরও ডাক দিতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে ফের তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আনন্দপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশীদের(Bangladeshi Arrest) নিয়ে ক্রমেই রাজ্য প্রশাসনের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি(BJP)। প্রশাসনের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ দাগতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক তাবড়তাবড় নেতারা। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(WB BJP President Sukant Majumder)। এবার সেই রাস্তাতে হেঁটেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপি নেত্রী তথা ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পালকে(Fashion designer Agnimitra Pal)। এমনকী প্রয়োজনে মাদ্রাসা বন্ধেরও(Madrasa closed) ডাক দিতে দেখা যায় তাঁকে। যা নিয়ে ফের তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে এর আগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লখনউ থেকে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের আধিকারিকরা পশ্চিমবঙ্গে মানবপাচারের(Human trafficking in West Bengal) সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির খোঁজ নিতে এসেছিলেন। তখনই ১৮ জনের খোঁজ মেলে। অথচ কলকাতা পুলিশের কাছে বিন্দুমাত্র কোনও খবর ছিল না। জানি না মাদ্রাসার কারও গায়ে পুলিশ হাত দিয়েছে কি না।” তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বিস্তর চাপানউতর শোনা যায় বিভিন্ন মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতার আনন্দপুর(Anandapur in Kolkata) থানার অনতিদূরেই গুলশন কলোনির একটি ফ্ল্যাট থেকে দুদিন আগেই গ্রেফতার করা হয় সন্দেহভাজন ১৮ জন বাংলাদেশিকে। এদের মধ্যে মূল অভিয়ুক্ত মাহফুজুর রহমান। লালবাজার সূত্রে খবর, আনন্দপুরের ওই বাড়িটিতে একটি মাদ্রাসা চলত। আড়াই মাস আগে সেই মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানেই ধৃতরা থাকতে শুরু করেছিল। তাদের কাছ থেকে প্রচুর জাল নথি উদ্ধার হয়েছে। এদিকে এই দলেরই মূল পাণ্ডা মাহফুজুর রহমানকে নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে বিঁধালেন অগ্নিমিত্রা।
আরও পড়ুন-‘খুব খারাপ লাগছে, এটা দুঃখজনক’, জেলা কমিটি থেকে বিদায়ের পর প্রতিক্রিয়া অশোকের
এদিন একটি চাঁচাছোলা টুইটে বিজেপি নেত্রী লেখেন, “মাহফুজুর রহমান একজন এজেন্ট যিনি বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে আসতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি এবং অন্য ২০ জন কলকাতার বুকেই একটি মাদ্রাসার গেস্ট হাউসে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। এতদিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কোথায় ছিল ? আমাদের সংখ্যালঘু শিশুদের আধুনিক শিক্ষা দিন। মাদ্রাসা গুলি যদি ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহৃত হয় তবে তা বন্ধ করুন।” এদিকে প্রথম পর্যায়ে ধৃতদের রবিবার আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাদের জেরা করে আরও ১৭ জনের খোঁজ মেলে। তাদেরও গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। তবে এই চক্রের মূল শিকড় কোথায় তা জানতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন।