সংক্ষিপ্ত
দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানো হল অশোক ভট্টাচার্যকে। যা নিয়েই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বাম রাজনীতির অন্দরে।
পুরভোটে দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকদিন আগেই বঙ্গ রাজনীতির বুকে অনেক জল্পনা শোনা নিয়ে গিয়েছিল বর্ষীয়ান সিপিআইএম(CPIM) নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে(Ashok Bhattacharya) নিয়ে। কিন্তু এবার প্রায় দীর্ঘ প্রায় চার দশক পর সিপিএমের দার্জিলিং(Darjeeling) জেলা কমিটির সদস্যপদ থেকে সরানো হল অশোক ভট্টাচার্যকে। যা নিয়েই নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যের বাম রাজনীতির অন্দরে। তবে দলের এই সিদ্ধান্তে যে উত্তরবঙ্গের(North Bengal) পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মন ভেঙেছে তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। দলের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েও অশোক ভট্টাচার্য এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। যা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা।
দলীয় সূত্রের খবর, বয়ঃসীমা সংক্রান্ত নিয়মের কারণেই জেলা কমিটির সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অশোককে কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। খানিক হতাশার সুরেই এই প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ' খুব খারাপ লাগছে। দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে কাজ এতদিন বিরোধীদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছি। বয়স কোনও সময় বাধা হয়নি। আরও কিছুদিন দলের সঙ্গে কাটাতে পারলে ভালো লাগত।' তবে দলের সিদ্ধান্তকে মেনেও নিয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য। প্রায় ৪০ বছর ধরে সিপিআইএমের সঙ্গে যুক্ত বর্ষীয়ান নেতা। শিলিগুড়ি পুরসভার(Siliguri Municipality) মেয়র, চেয়ারম্যান, পুরমন্ত্রী এবং বিধায়কের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিধানসভায় বাজিমাত, ফের ‘মলয়দা-র’ হাত ধরেই পুর যুদ্ধে জিততে মরিয়া যাদবপুরের ঘাসফুল শিবির
এদিকে বর্তমানে দার্জিলিংয়ে সিপিআইএমের নতুন জেলা সম্পাদক করা হয়েছে সমন পাঠককে। তিনি অবশ্য অশোক বাবুর অভিমানকে খানিক সুকৌশলেই এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি আগামী দিনেও সকলে একসাথে কাজ করা হবে। পুরনোদের অভিজ্ঞতার কাঁধে ভর করেই নতুনদের নিয়ে এগিয়ে যাবে দল। এই ক্ষেত্রে অশোক ভট্টাচার্য অন্যতম কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করবে বলেও মত তাঁর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিপিএম-র জেলা কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে বয়সের উর্ব্ধসীমা রাখা হয়েছে ৭০ বছর। সেই নিয়ম মেনেই সাংগঠনিক স্তরে একাধিক বদল আনা হয়েছে। একাধিক জেলায় বদল হয়েছে জেলা সম্পাদকের। ওই মেনেই উত্তর দিনাজপুরের নতুন সিপিএম জেলা সম্পাদক হলেন আনোয়ারুল হক। উত্তর দিনাজপুরের সম্পাদক ছিলেন অপূর্ব পাল। জেলা সম্পাদন বদলেছে পুরুলিয়াতেও। আর সেই তালিকাতেই নাম রয়েছে অশোক বাবুর।