সংক্ষিপ্ত
অনিয়মিত বেতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা গেল ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ঠিকা কর্মীদের। মানবাধিকার দিবসেই যা নিয়ে নতুন করে বাড়ছে চাঞ্চল্য। সূত্রের খবর, বিগত কয়েক মাস ধরে সময় মতো বেতন পাচ্ছেন না ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ঠিকা কর্মীরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ(Privatization of banks) নিয়ে ক্রমেই গোটা দেশজুড়ে বাড়ছে জনরোষ। এই অবস্থায় এবার আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছে ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলি। আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘট(Bank strike) ডাকা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দ্য ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস(United Forum of Bank Unions)। এদিকে তার আগেই এবার অনিয়মিত বেতনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা গেল ব্যাঙ্ক অফ বরোদার(Bank of Baroda) ঠিকা কর্মীদের। মানবাধিকার দিবসেই(Human Rights Day) যা নিয়ে নতুন করে বাড়ছে চাঞ্চল্য। সূত্রের খবর, বিগত কয়েক মাস ধরে সময় মতো বেতন পাচ্ছেন না ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ঠিকা কর্মীরা।
এদিকে ঠিকা কর্মীরা যেরকম এটিএম-এর নিরাপত্তার কাজ করেন তেমনই অনেকে কোথাও হাউসকিপিং বা কোথাও পিয়ন সহ অন্যান্য কাজ করেন। কিন্তু যেহেতু তাদের নিয়োগ কোনও এক ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে হয় তাই তাদের বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সরাসরি খুব একটা আমল দেয় না ব্যাঙ্ক। এদিকে অনিয়মিত বেতনের সমস্যা চলছে বিগত কয়ে মাস ধরে, সেই সঙ্গে আটকে রয়েছে পিএফ-র টাকাও। সব মিলিয়ে সংসার টানতে নাজেহাল হচ্ছেন ঠিকা কর্মীরা। সমস্যার কথা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েও বিশেষ কোনও সুরাহা হয়নি, অন্যদিকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দরবার করলেও তাদের তরফ থেকেও কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি বলে অভিযোগ। তার জেরেই চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ঠিকা কর্মীরা।
আরও পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে পুলিশ-বিক্ষোভকারী তুমুল ধস্তাধস্তি, গ্রেফতার ৬০
অভিযোগ, বেতনের পাশাপাশি ইএসআই এবং পিএফ-এর টাকাও ঠিকমতো জামা পড়ছে না তাদের অ্যাকাউন্টে। এই সমস্যার কথাও বারবার জানানো হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আমল দেয়নি বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। আর সেই কারণেই নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায়ে পথে নেমেছেন তারা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মেনেই নিজেদেক দাবি দাওয়া আদায়ে শুক্রবার সকালে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ব্যাঙ্ক অফ বরোদা জোনাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। তাদের দাবি দাওয়া উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেন তারা। অভিযোগ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক ঠিকা কর্মী বলেন, “ আমরা বেশ কয়েক মাস ধরেই অনিয়মিত ভাবে বেতন পাচ্ছি। কখনও তিন মাস, তো কখনও দু মাপ পর পর বেতন পাচ্ছি। পাশাপাশি দেড় বছরের উপর হয়ে গেল আমাদের অ্যাকাউন্টে কোনও পিএফ-র টাকা ঢোকেনি। ইএসআই মারফতও ঠিকমতো ট্রিটমেন্ট পাচ্ছি না। আর সেই কারণেই আমরা আজ নিজেদের দাবি-দাওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে রাখলাম।”