সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনার মধ্যে শিশুদের এই জ্বর নিয়ে চিন্তিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে স্বাস্থ্য ভবন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল।
রাজ্যে জ্বরে নাজেহাল বহু শিশু। বিভিন্ন প্রান্তেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এই জ্বর। আর এবার শিশুদের জ্বর-শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মোকাবিলায় গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে ওই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। আক্রান্ত শিশুকে পর্যবেক্ষণ, তার চিকিৎসা ও কখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে সেই বিষয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়।
রাজ্যে শ্বাসকষ্ট এবং জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। করোনার মধ্যে শিশুদের এই জ্বর নিয়ে চিন্তিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে স্বাস্থ্য ভবন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সদস্যরা ভাইরাস ঘটিত জ্বরের কারণ খুঁজে তার চিকিৎসা পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা তৈরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- 'বাবুলের তৃণমূল যোগ-অর্পিতার ইস্তফা', তৃণমূলের ত্রিকোণমিতি মেলালেন অনুপম হাজরা
সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট যদি তিনদিনের বেশি থাকে তাহলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের নিচে নেমে গেলেও তাদের ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে। এছাড়া আক্রান্ত শিশুদের আলাদা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সময় তাদের কাছে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। আর যিনি ওই শিশুর দেখভাল করবেন তাঁকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। কোন পরিস্থিতিতে, কীভাবে অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে হবে, সে সংক্রান্ত নির্দেশও রয়েছে গাইডলাইনে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়, অভিষেকের হাত ধরে আচমকা দলবদল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই জ্বরের প্রকোপ সবথেকে বেশি। মালদহ ও জলপাইগুড়িতে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে এখন এই জ্বর শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গেই নয় তা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছে হাওড়া, হুগলির বহু শিশু। অসুস্থ শিশুদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরীক্ষার পর জ্বরের কারণ হিসেবে ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি এবং রেসপিরেটরি সিনসেটিয়াল ভাইরাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাবা রামদেবের হাত ধরে রাজনীতিতে পা বাবুলের, BJP-TMC বর্ণময় রাজনীতির ৭ বছর
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আরও একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের ২১টি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে নতুন করে ৪৩৫টি পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (PICU) খোলা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ২৪৪টি নতুন পিকু খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেই পিকুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭৯টি।