রাজ্যে আজ বনধের কেমন প্রভাব পড়ল, সে প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "ধর্মঘট সফল। সারা বাংলার মানুষ বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন। শাসকের চোখ রাঙানির জন্যই অফিস কাছারিতে মানুষ যেতে বাধ্য হয়েছেন। যেভাবে পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ছে তাতে সব মানুষ একত্রিত হয়ে পথে নেমেছেন। ধর্মঘট ভাঙার জন্য এই বাংলায় যেভাবে পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে সেটা সারা দেশের অন্য কোনও রাজ্যে হয়নি। উনি পাহাড়ে বসে আছেন ঠান্ডায় আর এখানে পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছেন।"
- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Bharat Bandh LIVE updates: ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব জেলায় জেলায়, কলকাতায় মিছিল সমর্থকদের
Bharat Bandh LIVE updates: ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব জেলায় জেলায়, কলকাতায় মিছিল সমর্থকদের
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সোম ও মঙ্গলবার দেশব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড ফ্রন্ট অফ সেন্ট্রাল ট্রেড ইউনিয়ন। বনধের জেরে ব্যাহত হবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা। কারণ এই বনধকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন।
- FB
- TW
- Linkdin
দেশব্যাপী দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলো। কিন্তু প্রথম দিনই তার কোনো প্রভাব পড়েনি আগরতলা শহরে। স্বাভাবিক জীবনযাপন। চলছে সবরকম যানবাহন। খোলা রয়েছে অফিস-আদালত।
কেন্দ্রীয় বাম সংগঠনের ট্রেড ইউনিয়নের যুগ্ম ফোরামের ডাকে ৪৮ ঘন্টা ভারত বনধে কোনও প্রভাব পড়ল না কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সকাল থেকেই বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক । যাত্রী পরিষেবা দিতে ট্যাক্সি ক্যাব অন্যান্য সাধারণ দিনের মতোই চলছে। কোনরকম ভাবে যাত্রী হয়রানি শিকার যেন না হয় সেই দিকে নজর রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। একপ্রকার বলাই চলে বনধের কোনো প্রভাব পড়ল না কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
হাবরা এক নম্বর রেলগেট অবরোধ SUCI র। প্রায় কুড়ি মিনিট অবরোধ করে রাখে তারা যশোর রোড ও বনগাঁ শিয়ালদা ট্রেন লাইন। স্টেশনে ঢোকার মুখে কিছু টা দূরেই দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। পরবর্তীতে হাবরা থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয় । পাশাপাশি সিপিএমের তরফেও কিছুক্ষণ হাবড়া স্টেশন মোড়ে যশোর রোডে অবরোধ করা হয়
বেলঘরিয়া স্টেশন অবরোধ করার উদ্দেশ্যে জমায়েত করেছিল বনধ সমর্থনকারীরা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলঘরিয়া থানার বিশাল পুলিশ। সেখানে পৌঁছে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় তারা। সেই সময় বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে স্টেশনে অবরোধ চলেছিল। তারপর পুলিশের হস্তক্ষেপে ওঠে অবরোধ। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যার জেরে সপ্তাহের প্রথম দিন নাজেহাল হন যাত্রীরা।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতরাগাছি ব্রিজের সামনে রাস্তা অবরোধ করলেন বন্ধ সমর্থকরা। এমনকী, রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা। এরপর রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি বাসে ভাঙচুর চালাল বনধ সমর্থনকারীরা। কোচবিহার-দিনহাটা রুটের বাসে বনধ সমর্থনকারীদের ঢিলে ভেঙে যায় বাসের জানলার কাচ।
শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ডায়মন্ডহারবার লাইনের হোটর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। যার জেরে সাত সকালে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল।
রায়গঞ্জে বনধ সমর্থনকারীদের মিছিল আটকে দিল পুলিশ। রায়গঞ্জের ঘড়িমোড়ে বামেদের মিছিল আটকায় পুলিশ। পাশাপাশি, আইএনটিটিইউসি সমর্থকদের একটি মিছিল চলে আসে ঘটনাস্থলে। দুই মিছিল থেকে চলতে থাকে স্লোগান। পুলিশ দু’টি মিছিলকে ফিরে যেতে বাধ্য করে। উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত যাদবপুর চত্বর। সাত সকালে যাদবপুর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে রেললাইন ও ট্রেনের উপরে উঠে যান তাঁরা।
বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন ও গণ সংগঠনগুলির ডাকা আজকের ধর্মঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ-সহ আশপাশের এলাকায় এখনও পর্যন্ত বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাস ও গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে লট নম্বর ৮ এ যাওয়ার ভেসেল পরিষেবা সচল রয়েছে। দোকান বাজারও খুলেছে। ধর্মঘটে যাতে কোনও রকম ঝামেলা না হয় তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
বনধের প্রভাবে হাওড়া স্টেশন চত্বরে হলুদ প্রিপেড ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায় যাত্রীদের। প্রিপেড বুথে অগ্রিম ভাড়া মিটিয়ে ট্যাক্সির জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। কাউকে আধ ঘণ্টা তো কাউকে তারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। হলুদ ট্যাক্সির সংখ্যা কম থাকায় এই দুর্ভোগ।
কলকাতার যাদবপুরে সকাল থেকেই ফাঁকা রাস্তা। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য মোতায়েন পুলিশ।
সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন বনধ সমর্থনকারীরা। বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে জমায়েত করে বনধ সমর্থনকারীরা। তবে বনধে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বালুরঘাট শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বনধের জেরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ বালুরঘাটে বেসরকারি গণ পরিবহন চলছে না। শুধুমাত্র সরকারি বাস চলছে। তহবাজার-সহ বেশির ভাগ এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘট সমর্থনকারীরা হাওড়া ডোমজুড় স্টেশন রোডে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। যার ফলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। ট্রেন দাঁড় করিয়ে হাতে দলীয় পতাকা নিয়ে ট্রেনের উপর উঠে পড়েন বনধ সমর্থনকারীরা।
আমতা রোড, ডোমজুড় বাজার থেকে জেলে পাড়ার মোড়ে পথ অবরোধ করে ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। ডোমজুড় বাজারে জোর করে সরকারি বাস বনধের চেষ্টা ধর্মঘট সমর্থনকারীদের। অন্যদিকে, হাওড়া ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের সানপুর মোড়ে বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা দু'দিনের দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে বামপন্থী সমর্থকরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।