সংক্ষিপ্ত
এখনও পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা না গেলেও আহত ও নিহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই হতাহতের উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই ট্রেন পাঠানো হচ্ছে বলে খবর।
বৃহস্পতিবার বিকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার (Horrible train accident) সাক্ষী থাকল উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। শিলিগুড়ির কাছে ময়নাগুড়ির (Mainaguri near Siliguri) ডোমহনিতে উল্টে গেল পাটনা-গুহায়াটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস (Patna-Guwahati-bound Bikaner Express)। এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কামরায় আটকে রয়েছে শতাধিক যাত্রী। পাশাপাশি ১০ জন যাত্রীকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ির জেলা শাসক। আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হতাহতের উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যেই ট্রেন পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। তবে নিকটবর্তী রেল স্টেশন থেকে একটি ছোট উদ্ধারকারী দল এলাকায় পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। তারাই গোটা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিচ্ছে। দ্রুত পৌঁছাবে বড় দল। তবে যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় উদ্ধরকার্যে খানিক অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে রেলের তরফে।
ইতিমধ্যেই অকুস্থলের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম, শেষ পাওয়া খবরে এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ডোমহনির কাছে উল্টে গিয়েছে বিকানের এক্সপ্রেসের ৪ থেকে ৫টি বগি। প্রতিটি বগিই কার্য দুমড়ে মুচরে মাঠের পাশে পড়ে রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন ট্রেনের গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও জানা যায়নি। রেলের (Indian Railway) তরফেও এখনও পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা নিয়ে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতিও দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন - মশারি নিয়ে চন্দননগরে অভিনব ভোট প্রচার বিজেপি-র, উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিমানের
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা গুলি যেহেতু একেবারে দুমরে মুচরে গিয়েছে সেই ক্ষেত্রে সহজ প্রক্রিয়ায় যে উদ্ধার করা যাবে না তা পরিষ্কার। সেই ক্ষেত্রে কামরাগুলিকে কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করতে হতে পারে। প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া হতে পারে গ্যাস কাটারের। ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও রেলের তরফে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা এলাকায় পৌঁছে কী প্রক্রিয়ায় মূল উদ্ধারকাজ হবে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। এদিকে আহততের উদ্ধার করতে ইতিমধ্যেই ঘটনা স্থলে পৌঁছেছে অ্যাম্বুলেন্স। তবে কী কারণে এই বিশালাকার দুর্ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু জানা না গেলেও ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। রেলের ট্র্যাকের দুরাবস্থা নাকি চালকের কারণে দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্বচ্ছ ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকাজই এখন যে মূল লক্ষ্য সেটাই রেলের তরফে বারবার বলা হচ্ছে।