সংক্ষিপ্ত

  আদৌ কি হবে ২২ জানুয়ারিতে পুরভোট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চলল টানাপোড়েন। 

রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে  পুরভোট (Municipal Election 2022  ) পিছনোর দাবিতে সরব প্রায় সবাই। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court ) মামলাও উঠেছে।  আদৌ কি হবে ২২ জানুয়ারিতে পুরভোট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে চলল টানাপোড়েন। এদিন একে অপরের কোর্টে বল ঠেলল। এদিনের শুনানি পর্বে প্রধানবিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সামনেই চলল পরস্পরের দায় এড়ানোর চেষ্টা। আর এখানেই ঝুলে রইল পুরোভোটের ভবিষ্যত। রায়দান স্থগিত রাখলেন প্রধান বিচারপতি।

এদিন মামলারকারীর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য এদিন ফের অভিযোগ তোলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করলেও প্রচারের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলি প্রচুর মানুষ নিয়ে প্রচার করছেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এত লোক একসঙ্গে জমায়েত হলে করোনা বাড়বে। তিনি বলেন, ভোটকে চ্য়ালেঞ্জ করা হচ্ছে না। এক্সট্রা অর্ডিনারি পরিস্থিতি। মনোনয় জমা দিতে গেলেও ভিড় দেখা যাচ্ছে। যদি এই অবস্থায় কমিশন বন্ধ না করে, তাহলে কোর্টের উচিত নির্বাচন বন্ধ করা। এরপরেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজ্য এবং রাজ্য কমিশনের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, এই মর্মে কী ভাবনা দুই পক্ষের। 

এরপর রাজ্য কমিশনের তরফে জানানো হয়, একবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে, তা পিছোনোর কোনও এক্তিয়ার তাঁদের নেই। একমাত্র রাজ্য সরকার যদি অতিমারি আইন অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, এখন ভোট সম্ভব নয়, তবে তা পিছোনো সম্ভব।যদিও রাজ্য কমিশনের সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য সরকার। তাঁদের দাবি, একবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে, রাজ্যের আর কোনও দায়িত্বই থাকে না।সেক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার শুধুমাত্র রাজ্য নির্বাচনের কাছেই রয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল এবং বিধাননগরে পুরভোট।   রাজ্যের এই চার পুরসভায় কোথায় কত সংখ্যক কোভিড সংক্রমণ হয়েছে এবং কতগুলি কনটেন্টমেন্ট জোন নির্দিষ্ট করা হয়েছে রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।  বৃহস্পতিবারই রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে ৪ পুরভোট কেন্দ্র বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়িতে সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিনেশনের যাবতীয় তথ্যের হলফনামা জমা নেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আসানসোলে ১৬.০৪ শতাংশ সংক্রমণ এবং ৯৮ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। বিধানগরে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। চন্দননগরে সংক্রমণ ৯ শতাংশ।শিলিগুড়িতে সংক্রমিত ১৯.০৫ শতাংশ। সেখানে টিকার দুটি ডোজ নিয়ে ৯২ শতাংশ মানুষ। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আপাতত রায়দান স্থগিত রাখলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।