সংক্ষিপ্ত

  • মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের ঠিক করা হয় বিশ্ব বাংলার এই লোগো।
  • তবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। 
     

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে 'রাম'-কে হাতছাড়া করছে না বিজেপি। সম্প্রতি অর্জুন সিং বলেছেন 'জয় শ্রীরাম' লেখা ১০ লক্ষ কার্ড পাঠাবেন মমতাকে। বাদ যাননি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। তিনিও বলেছেন দেখা হলেই মমতাকে জয় শ্রীরাম বলবেন। এছাড়াও নৈহাটি দিয়ে গিয়েও মানুষের জয় শ্রীরাম ধ্বনির মুখে পড়েছেন মমতা। মেজাজও হারিয়েছেন। কিন্তু এবার তাঁর সাধের বিশ্ব বাংলা লোগো তেও পড়েছিল রামের নজর। 

সোমবার কাঁকিনাড়ার মাদরাল হনুমান মন্দিরে বিশ্ব বাংলা লোগোর উপরে রাম লিখে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নির্বাচনের সময় থেকেই এই ব্যারাকপুর এলাকায় রাজনৈতিক বচসা ও সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। মন্দির কমিটির লোকজনের চোখেই প্রথম পড়ে যে বাংলা হঠাৎ রাম হয়ে গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। 

মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের ঠিক করা হয় বিশ্ব বাংলার এই লোগো। তবে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। 

প্রসঙ্গত, কেন জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলেই তিনি রেগে যান, এই প্রশ্নের মুখে বার বার পড়তে হয়েছে মমতাকে। রবিবার সে বিষয়ে ফেসবুকে বিস্তারিত লিখেছেন মমতা। মমতা এদিন লেখেন, "আমি সাধারণ মানুষকে জনাতে চাই, ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। বিভ্রান্তি তৈরির জন্যে ভুঁয়ো খবর তৈরি করছে। সত্যকে ধামাচাপা দিতে চাইছে তাঁরা। জয় সিয়া রাম, জয় রামজিকি, রাম নাম সত্য হ্যায়"- ইত্যাদি স্লোগানের ধর্মীয় ও সামাজিক সংজ্ঞা আছে। আমরা এই আবেগকে সম্মান করি। কিন্তু বি. জে.পি এই " জয় সিয়া রাম" ধর্মীয় স্লোগানকে রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত করেছে এবং এর ফলে রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কখনোই আরএসএস এর এই ধর্মীয় স্লোগানকে বলপূর্বক রাজনৈতিক স্লোগান এ পরিণত করাকে মানতে পারিনা। বাংলা কখনো এ মেনে নিতে পারেনি,পারবে না। এই বিদ্বেষপূর্ণ মতাদর্শকে গুন্ডামি এবং হিংসার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সকলের এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত।"