সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য়ে ফের কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন
- যা নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি
- তিন মাস ধরে রাজ্য়ে লকডাউন ঘোষণা ছিল
- রাজ্য়বাসী সেই লকডাউন দেখতে পায়নি
রাজ্য়ে ফের কনটেইনমেন্ট জোনে লকডাউন নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপির রাজ্য় সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন,গত তিন মাস ধরে রাজ্য়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে তা চোখে পড়েনি রাজ্য়বাসীর। এখন সংক্রমণের হার লাগামছাড়া দেখে ঘুম ছুটেছে মুখ্য়মন্ত্রীর। তাই এবার ঠেলায় পড়ে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে হচ্ছে তাকে।
এদিন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, যে ভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বাড়ছে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব ছাড়া এটা সামলানো সম্ভব নয়। লকডাউন শুধু মুখে বললে হবে না সেটা ব্যবহারিক ভাবে লাগানো উচিত। গত তিনমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গে খাতায় কলমে লকডাউন চলছে, কিন্তু বাস্তবে তা ছোখে ধরা পরেনি। ফলে যাও হওয়ার তাই হয়েছে।
স্বাস্থ্য় দফতেরের বুলেটিন বলছে, প্রতিদিন ১০০০ এর ওপর সংক্রমণ হচ্ছে রাজ্য়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন জুলাই-এর মাঝামাঝি সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে সংক্রমণ। এখন রাজ্য়ে সেটাই হয়েছে। এইসব জানার পরও যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক সংক্রমণ বাড়বে। যখন সরকার বলেছেন সেটা পাবলিকের মানা উচিত আর এটা যাতে সবাই মানে সেটা সরকারের দেখা উচিত।
গাড়ি বন্ধ করা উচিত।খুব ইমারজেন্সি না হলে কেউ যাতে প্রবেশ না করে।যেখানে যেখানে সংক্রমণ হতে পারে সেখানে সব সম্ভাবনা কে বন্ধ করা উচিত আর কড়াকড়ি ভাবে করা উচিত।পুলিশ করতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হচ্ছে এটা যাতে না হয়।বিশেষজ্ঞরা যা বলছে সেটা সরকারের পুরোপুরি ভাবে মানা উচিত। সবকিছু অর্ধেক না করে যদি লকডাউন আর কিছু দিন থাকে তাহলে আমরাও সুস্থ থাকতে পারি।