সংক্ষিপ্ত
সভা বিতর্কের পর ফের গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে সরব রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। নিজেকে নগন্য কার্যকর্তা বলে পুরভোটের দোরগড়ায় সোশ্যালমিডিয়ায় ফের বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ তথা রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
সভা বিতর্কের পর ফের গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে সরব রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। নিজেকে নগন্য কার্যকর্তা বলে পুরভোটের (KMC Election 2021) দোরগড়ায় সোশ্যালমিডিয়ায় ফের বিস্ফোরক রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্যতম প্রধান মহিলা মুখ তথা রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ফের জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহত বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে আছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, আমার তো আর হোর্ডিং লাগাবার মতো ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দু-জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম, আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব। প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলরকে নিয়ে রূপার এই অবস্থান অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও এই তিস্তা এবং গৌরবের ইস্যুতেই বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে উঠে চলে যান তিনি। করেন বিস্ফোরক পোস্ট। এর আগে ফেসবুকে বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাস দাসের মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
রূপা সেখানে সাফ জানান , 'এবার আমার কাছে স্পষ্ট, তিস্তার মৃত্য কোনও নিছক দুর্ঘটনা ছিল না। বরং এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ক্ষমা করবেন বিজেপি বেঙ্গল। আমি আমার সামর্থ্য মত গৌরবের পাশে থাকব।' এখানে গৌরব অর্থাৎ প্রয়াত বিজেপি কাউন্সিলর স্বামী। তিস্তা বিশ্বাসের সড়ক দুর্ঘটনায় তিস্তার মৃত্যু হলেও রাহুল সিনহা মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন তদন্ত হওয়া উচিত। সূত্রের খবর তিস্তার স্বামী গৌরব পুরভোটে টিকিট না পাওয়ায় অসন্তুষ্ট রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত ওই ওয়ার্ড থেকে তিস্তার স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী করার কথা থাকলেও অন্য একজনকে টিকিট দেয় দল। আর এনিয়ে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ ছিলেন রূপা। এরপরেই মঙ্গলবারের বৈঠকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন রাজ্যসভার সাংসদ।
আর এবার ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। দীর্ঘ পোস্ট করে লিখলেন, তিনি দলের নগন্য কার্যকর্তা। এদিকে রাজ্যসভায় এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তাই দিল্লিতেই আছেন রুপা। সেখান থেকেই তিনি এই বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, 'অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনের কথা এসে ভিড় করছে। আমাকে অনেক শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তখন। আজ আমি স্বীকার করি , আমি হয়তো রাজনীতির লোক নই। দল আমাকে তাড়াতে পারে, শোকজ করতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে, কিন্তু দল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারে না।'