সংক্ষিপ্ত
হরিপদ ভারতীর প্রয়ান দিবসে কেওড়াতলায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য । বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচনের প্রাক্কালে শমীক ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল বাবুল-শুভেন্দু প্রসঙ্গ।
হরিপদ ভারতীর প্রয়ান দিবসে কেওড়াতলায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। উল্লেখ্য, সামনেই বালিগঞ্জ বিধানসভায় উপনির্বাচন। এদিন শমীক ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এল বাবুল-শুভেন্দু প্রসঙ্গ (Babul Supriyo and Suvendu Adhikari)।
'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কোনওদিন নামাবলী গায়ে চড়াতে হয়নি', বাবুল ইস্যুতে বিস্ফোরক শমীক
বাবুল প্রসঙ্গ উঠতেই শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কোনওদিন নামাবলী গায়ে চড়াতে হয়নি। নোয়াখালীতে গিয়ে ফেজটুপি পড়তে হয়নি মহাত্মা গান্ধীকেও। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রক্রিয়া। এখন পশ্চিমবাংলায় সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাঁকিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।' প্রসঙ্গত, এবার বালিগঞ্জ বিধানসভা থেকে এবার উপনির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হবার পর মূলত ওই বিধানসভার আসন খালি রয়েছে। এদিকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিস্তর জলঘোলা হয়েছে, যে কোথা থেকে দাঁড় করানো হচ্ছে বাবুলকে। কারণ মাঝে আরও নির্বাচন গেছে, কিন্তু বাবুলের কোনও প্রার্থীপদ ঘোষণা না হওয়ায় খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রাক্তন সহকর্মী তথা বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। তবে মাঝে গঙ্গায় কম জল বয়ে যায়নি। ততই মসৃণ হয়েছে তৃণমূল। সবার যখন ৫ রাজ্যের ভোটের দিকে চোখ, ঠিক তেমনি পরিস্থিতিতে বাবুলকে নিয়ে মমতা বিশেষ ঘোষণায় জানালেন, 'প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং জনপ্রিয় গায়ক বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী হচ্ছেন।' এদিকে বাবুল প্রসঙ্গ ওঠার সঙ্গেই শুভেন্দুকেও কথা প্রসঙ্গে টেনে আনলেন শমীক।
আরও পড়ুন, 'ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও ফিল্ম করা উচিত', কাশ্মীর ফাইলস দেখে তোপ শুভেন্দুর
'শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বাবুল নিজের স্তরকে মেলাচ্ছেন'
কারণ একুশের বিধানসভা ভোটের সবচেয়ে বড় হট কেকই ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একেতো তাঁর দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ এবং তার উপর মমতার মুখোমুখি ভোটযুদ্ধের ময়দানে নামেন শিশির পুত্র শুভেন্দু অধিকারি।শুভেন্দুর পরিবার প্রসঙ্গে বাবুলসুপ্রিয়কে টেনে তিনি বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ করে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বাবুল নিজের স্তরকে মেলাচ্ছেন। একই পাল্লায় দাঁড় করাচ্ছেন। এটা অত্যন্ত হাস্যকর। আগের আট বছর উনি কি বলেছেন সেটা একবার রিপিট করে দেখুন।' একদিকে যেমন শুভেন্দুর পদ্ম শিবিরে প্রবেশ, অপরদিকে পদ্ম শিবির থেকে বাবুলের চলে যাওয়া এই সন্ধিক্ষণ বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম মুহূর্ত। পাশাপাশি, কলকাতায় গুলিকাণ্ডে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। বাম আমলে প্রশাসন ও শাসক দলের যে সূক্ষ্ম বিভাজন ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সেটাকে মুছে দিয়েছে। এখন কোথাও থানা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আবার কোথাও থানার পুলিশ চালাচ্ছে দলটাকে। টোটাল ব্রেকডাউন অফ কনস্টিটিউশন মেশিনারি। এরপরেও কি করে একটা সরকার টিকে থাকতে পারে সেটাই মানুষের প্রশ্ন।
অপরদিকে শত্রুঘ্ন সিনহা ইস্যুতে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'ভারতবর্ষের যেকোনো মানুষই যে কোনও জায়গায় গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, এটা ভারতের সংবিধান গত অধিকার। গত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিহারের মানুষকে গুটকা খৈনি খোর বলেছে। এই শত্রুঘ্ন সিনহাকে পাটনা সাইবের মানুষ তার আনবানসান ভেঙে দিয়েছে।'