সংক্ষিপ্ত
দিল্লি থেকে আচমকা তলব পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। সকালের বিমানে তড়িঘড়ি দিল্লি উড়ে গেলেন বিরোধী দলনেতা
শুক্রবার আচমকা একটা ফোন। সেই ফোন পেয়েই দিল্লিগামী বিমান ধরলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সকালেই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু। সূত্রের খবর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ডেকে পাঠান শুভেন্দু অধিকারীকে। সকাল ৯টা পর্যন্ত কাঁথির বাসভবনে থাকলেও হঠাতই দিল্লি থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে হাজির হন ও একটি দিল্লিগামী ফ্লাইটে চলে যান তিনি।
বিশেষ সূত্রের খবর শুক্রবার জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। অবশ্য তার আগে সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত করেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পাওয়া খবরে রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে। এরই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা কীভাবে করবে বিজেপি, তার দিশা স্থির করতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
সূত্রের খবর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে চলা ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে , তার ভিত্তি বিরোধিতার কী রণকৌশল স্থির করা যায়, বিজেপি বিরোধিতাকে কীভাবে সংগঠিত করা যায়, তা নিয়ে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে শুভেন্দুর আচমকা এই দিল্লি সফরকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করা হবে বলেই দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়েছে। যে ভাষায় বিরোধী রাজনীতির হাল ধরেছেন শুভেন্দু, তা বিতর্ক তৈরি করেছে একাধিকবার। এরই সঙ্গে বিতর্ক উসকে দিয়ে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর দিল্লি সফর সম্পর্কে আদৌও খোদ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবহিত রয়েছেন কীনা, তা জানা দরকার। কারণ এর আগেও শুভেন্দুর দিল্লি সফর নিয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়ে ছিলেন দিলীপ।