সংক্ষিপ্ত

করুণাময়ীর টেট আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি পদক্ষেপের প্রতিবাদে বামেদের পর রাস্তায় নামল বিজেপি। ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ। কেন্দ্রকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন বিজেপি সাংসদ। 
 


করুণাময়ীকাণ্ডে বামেদের তীব্র প্রতিবাদের পর এবার রাস্তায় নামল বিজেপি। শুক্রবার ধর্মতলায় পুলিশের ব্যারিকেড দিলে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা। অগ্নিমিত্রা পল-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ও কর্মীকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার জেরে মধ্য কলকাতায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হিংসাকত্মক আচরণ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খান। 


বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান লিখেছেন, টেট যোগ্য প্রার্থীদের ওপর পুলিশের পদক্ষেপের নিন্দা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী  ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। তিনি বলেছেন, যোগ্য প্রার্থীরাই চাকরির দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিল। কিন্তু তাঁরা চাকরির বিষয়ে কোনও আশ্বাস পাননি। সরকার চাকরি প্রার্থীদের কথা শুনছে না। অথচ নিজের হকের চাকরির জন্য আন্দোলনকারীরা প্রায় ১০০ ঘণ্টা অনশন আন্দোলন করেছিলে। তাঁরা জল পর্যন্ত পান করেনি বলেও জানিয়েছেন কিন্তু। শান্তিপূর্ণ এই অনশনে রাত ২টোর সময় হিংসা প্রয়োগ করে পুলিশ। আন্দোলকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আন্দোলনকারীদের জেলে পাঠান হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিজেপি সাংসদ করুণাময়ীর এই টেট আন্দোলনকারীদের জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছেন। 

করুণাময়ীর টেট আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে মধ্য কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল। কিন্তু ধর্মতলায় ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। তারপরই বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় অগ্নিমিত্রাদের আটক করে পুলিশ। 

 বৃহস্পতিবার রাতে করুণাময়ীর অনশনরত টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয়। তাদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। বেশ কয়েকজন আন্দোলনতারী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বিজেপি। 

করুণাময়ী-কাণ্ডে সরব অপর্ণা সেন, ঋদ্ধি আর কমলেশ্বরের ফেসবুকে পুলিশের নিন্দা

দীপাবলির আগেই মজুত বাজি বিস্ফোরণে মৃত ৪, ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল আস্ত দোতলা বাড়ি

ইমরানের 'ভাগ্য বিপর্যয়', তোষাগারে হেরাফেরির অভিযোগে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন খান সাহেব
অন্যদিকে করুণাময়ী-কাণ্ডে  এবার মুখ খুলল রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আন্দোলনরত টেট উত্তীর্ণদের জোর করে তুলে দিয়েছিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে টলিগঞ্জের শিল্পীরা। এদিন সকালেই টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অপর্ণা সেন। তিনি বলেন, 'তৃণমূল সরকার অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্গন করেছে। আহিং আন্দোলনে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারে এই গণতান্ত্রিক ও অনৈতিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।'