সংক্ষিপ্ত
১৩৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে বাম ও কংগ্রেস মাত্র ২টি করে আসন পেলেও ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হারে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা।
কলকাতা পুর নির্বাচনে (KMC Election) জয়জয়কার তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। তাদের জয়ের আনন্দে আজ কলকাতার আকাশের রং সবুজ হয়ে গিয়েছে। ১৩৪টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি দশটি আসনের মধ্যে বিজেপির (BJP) ঘরে গিয়েছে ৩ টি, বামেদের (Left) ২ টি, কংগ্রেসের (Congress) ২ টি এবং নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৩ টি ওয়ার্ডে। অবশ্য জয়ের বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিল ঘাসফুল শিবির। আর ফল প্রকাশের পর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দাবি, 'প্রথম থেকেই বলেছিলাম তৃণমূল ১৩৪ থেকে ১৩৫টি আসন পাবে।'
আজ সকালে গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই ছবিটা কিছুটা হলেও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বোঝা যাচ্ছিল যে ফের কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) দখল নিজেদের হাতেই রাখতে চলেছে তৃণমূল। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। ১৩৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তবে বাম ও কংগ্রেস মাত্র ২টি করে আসন পেলেও ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হারে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। ফল প্রকাশের পর অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "যখন নির্বাচন ঘোষণা হল, তখনই আমি বলে দিয়েছিলাম ১৩৪ থেকে ১৩৫ টি আসন পাবে তৃণমূল, ১৪০ টিও হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দেখেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। ৩৪ বছরের বাম আমলের পর কলকাতার যে ভাবে উন্নয়ন হয়েছে, তার জন্য ভোট দিয়েছে সাধারণ মানুষ।"
আরও পড়ুন - KMC Election 2021: কলকাতার পরবর্তী মেয়র কে, জানা যাবে ২৩ ডিসেম্বর, বললেন মমতা
সেক্ষেত্রে ৭টি জেতা আসনের মধ্যে মাত্র ৩টি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি। খোয়া গিয়েছে বেশিরভাগই। এনিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত। তিনি বলেন, "বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত। বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছিল বলেই বিজেপি অতগুলো আসন পেয়েছিল। ওরা জোট না করলে বিধানসভায় বিজেপি অতগুলো আসন পেত না। অন্তত ১০ টি আসন কম পেত। জোটকে মানুষ ঘৃণা করেছে, তাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল।"
সেই সঙ্গে বিজেপিকে উপদেশও দিয়েছেন অনুব্রত। বলেন, "বিজেপির চুপচাপ থাকা দরকার। ভদ্রভাবে কথা বলা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আমলে যে উন্নতি হয়েছে তাতে মাঝে মধ্যে শামিল হওয়া দরকার। আর কলকাতার রাজপথে দাঁড়িয়ে ওদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।"