সংক্ষিপ্ত
বড়দিনের আগেই নয়া কমিটি ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। একে বিধানসভা ভোট, উপনির্বাচন এবং কলকাতা পুরভোটেও বিপুল ভোটে হারের পর কার্যত চাপের মুখে রাজ্য বিজেপি।
পুরভোটে ভরাডুবির পরপরই বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য কমিটি জল্পনা তুঙ্গে। একে বিধানসভা ভোট , উপনির্বাচন এবং কলকাতা পুরভোটেও (WB Assembly ELections, By Elections, KMC Polls 2021) বিপুল ভোটে হারের পর কার্যত চাপের মুখে রাজ্য বিজেপি। একেই পুরভোটে হওয়ার আগে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ এবং বেনিয়মের ভুরিভুরি অভিযোগ উঠে আসে। যার জেরে চরমে পৌছয় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। তাই এবার সবকিছু ঝেড়ে ফেলে নতুন উদ্য়োমে কাজ করতে চায় গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রের খবর, বড়দিনের আগেই নয়া কমিটি ঘোষণা করতে পারে বিজেপি (BJP)।
সুকান্ত মজুমদারকে দলের রাজ্যকমিটি চৃড়ান্ত করতে বলা হয়েছে
বুধবার বিকেলের বিমানে দিল্লি উড়ে যাবেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কারণ দলের রাজ্যকমিটি চৃড়ান্ত করতে বলা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদকেই। সেই কারণেই সুকান্তকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। শীর্ষ নের্তৃত্বের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় সূত্রের খবর, বড়দিনের আগেই নয়া কমিটি ঘোষণা করতে পারে বিজেপি। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই হঠাৎ দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করে গেরুয়া শিবির। তবে সুকান্তকে সেই সময় দায়িত্ব দেওয়া হলে রাজ্যকমিটিতে কোনও বদল করেনি বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোট, উপনির্বাচন এবং চলতি বছরের সবশেষে কলকাতা পুরভোটেও ভরাডুবির পর কার্যত এবার রাজ্য কমিটিতেও বদল আনতে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নের্তৃত্ব।
আরও পড়ুন, Firhad Hakim-Suvendu Adhikari: 'কষ্ট হত', শুভেন্দুর আক্রমণ নিয়ে জয়ের পর মুখ খুললেন ফিরহাদ
নিষ্ক্রিয় এবং তৃণমূলমুখী নেতাদের এবার বাদের লিস্টে পাঠাতে পারে বিজেপি
দলীয় সূত্রে খবর, ৩১ থেকে ৩২ জনকে নিয়ে কমিটি করতে পারে বিজেপি। এবং সেই কমিটিতে কম করে হয়ে ৭ থেকে ৮ জন মহিলাও থাকবেন।সহ সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক স্তরেও বেশ কিছু রদবদল হতে পারে। বিজেপির সাংগাঠনিক কাঠামোতে এই সম্পাদক স্তর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক পদে অমিতাভ চক্রবর্তীর কার্যভারও কিছুটা লঘু করতে চাইছে বিজেপি। তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হতে পারে আরও এক-দুজন সহকারীকেও। রদ-বদল আসতে পারে বিভিন্ন শাখা সংগঠনগুলিকেও। তবে নতুন কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় এবং তৃণমূলমুখী নেতাদের এবার বাদের লিস্টে পাঠাতে পারে বিজেপি।
আসন খোয়াতে পারেন কারা, বুক ধুকপুক কমবেশি সবারই
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে প্রায় প্রতিদিনই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিল। যার ফলে বিজেপি করা মুখের থেকে দলবদল হয়ে আসা মুখের সংখ্যা একলহমায় বেড়ে গিয়েছিল। তবে তা আরও কিছুটা ফুলেফেপে ওঠে তৃণমূলের বিধানসভার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর। অনেকেই দলে জায়গা না পেয়ে বিজেপিতে ঘাটি গড়ে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর পট পুরোপুরি পরিবর্তন হয়। ঘরছাড়া তৃণমূলীরা ধীরে ধীরে ফেরে সেই পুরোনো ঘাসফুল শিবিরে। এবং সংখ্যাটা আরও বাড়ে উপনির্বাচনেও পরপর সাফল্য পাওয়ার পর। এবং শুধু যে মুকুল রায়ের মতো পুরোনো নেতারই ঘরে ফিরেছে , তা নয়। হার্ডকোর বিজেপির থেকেও হেভিওয়েটরাও তৃণমূলে নাম লেখায়। তার মধ্যে অন্যতম বাবুল সুপ্রিয়। তাই এই মুহূর্তে কাদেরকে ছেটে ফেলবে, আর কাদেরকে নিয়ে গড়বে নয়া রাজ্য কমিটি, তা নিয়ে বুক ধুকপুক কমবেশি সবারই।