সংক্ষিপ্ত

  • অর্জুন হামলায় সিবিআই চাইল বিজেপি
  • মারার ছক কীভাবে, যুক্তি দিলেন সাংসদ
  • খুনের ছকের পিছনে মমতার হাত দেখছে বিজেপি
  • পরিকল্পনা করে ডাকা হয়েছিল সার্কাস মোড়ে

অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটার পিছনে মমতা ব্য়ানার্জির ছকের কথা বলেছিলেন আগেই। এবার কীভাবে তাঁকে মারার পরিকল্পনা হয়েছিল,তাঁর যুক্তি দিলেন, খোদ ব্যারাকপুরের সাংসদ।

রাজ্যে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ফের একবার সরব হল দল। বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের মমতা ব্যানার্জি খুনের ছক করেছেন বলে অভিযোগ করলেন মুকুল রায়। মুকুলের দাবি,বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও, অর্জুন সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এমনকী তিনি নিজে রয়েছেন মমতার খুনের তালিকায়। মুকুলের দাবি, অর্জুনের ওপর ফের হামলা হতে পারে। 

মুকুলের সঙ্গে একমত ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও। একধাপ এগিয়ে তাঁকে কীভাবে খুনের চক্রান্ত হয়েছে তাঁর সপক্ষে য়ুক্তি দেন অর্জুন। 'ব্য়ারাকপুরের বাহুবলী ' বলেন, ঠিক ২টোর সময় আইসি জগদ্দল আমাকে ফোন করেন। আইসি বলেন,রাস্তা অবরোধ হচ্ছে স্যর। আপনি একটু উঠিয়ে নিন। উনি বলেন, সার্কাস মোড়ে অবরোধ চলছে একটু বলে দিন। আমি বলি আমি ওদিকে থানায় অভিয়োগ জানাতে যাচ্ছি আমি বলে দিচ্ছি। কিন্তু স্পটে গিয়ে দেখি মনোজ বর্মা বিধায়ককে ফেলে পেটাচ্ছে। আমি চেজ করতেই ও আমার মাথায় আঘাত করে। এর মানে ওখানে ডেকে আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।'

এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি অর্জুন। পাল্টা তাঁর দাবি, হাই টেকনোলজির যুগে কে কীভাবে আইসি জগদ্দলকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তা জানা যাবে। কল ডিটেলস ঘাঁটলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের মাধ্যমে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। পাশাপাশি তাঁর মাথা ফাটার জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। অর্জুনের দাবি, একজন সাংসদের ওপর কীভাবে আইপিএস অফিসার লাঠি চালায়, তা জানতে চাওয়া হয়েছে স্পিকারের কাছে। নব্য বিজেপির এই সাংসদের কথায়, প্রোটোকল অনুযায়ী সাংসদের থেকে অনেক জুনিয়র পদাধিকারী একজন  আইপিএস। এদিকে , গতকালই অর্জুন ও তাঁর বিধায়ক পুত্র পবন সিংয়ের নামে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এইসব নিয়ে তিনি ততটা ভাবিত নন বলে সাফ জানিয়ে দেন ব্য়ারাকপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, 'দিদিকে তো আমি অনেক আগে চ্যালেঞ্জ করেছি। আমার ওপর একশো মামলা করুন। আমি চাইছি গিনেস বুকে আমার নাম উঠুক। মমতা ব্যানার্জি বিরোধীদের জব্দ করার জন্য মামলার ওপর মামলা দিয়ে যাবেন। আমি যেদিন মামলা করব, সেদিন দিদিমণিকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। দিদিমণিকে জয়ললিতা না হলে লালুপ্রসাদ হতে হবে।'