সংক্ষিপ্ত
প্রেমের টানে ভারত থেকে সীমান্তের কাটাতার অতিক্রম করে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে প্রবেশ করল ভারতীয় তরুনী। নাবালিকাকে উদ্ধার করে বিএসএফ।
প্রেমের টানে ভারত থেকে সীমান্তের কাটাতার অতিক্রম করে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে প্রবেশ করল ভারতীয় তরুণী। উত্তর দিনাজপুর জেলার হরিয়ানা গ্রামের খুসনামা নামে বছর ১৭-র নাবালিকাকে আটক করেছে বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police)। তারা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে ভারতের সীমান্তের জিরো লাইনে পতাকা বৈঠক করে। এরপরে নাবালিকাকে উদ্ধার করে বিএসএফ (BSF)।
বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া। ওইদিন দুপুরেই বাংলাদেশের তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের এক বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই তরুণীর বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার হরিয়ানা গ্রামে। স্থানীয় ইসরাইল হোসেনের মেয়ে খুসনামা। সূত্রের খবর, প্রেমিকার আটকের খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে থানায় হাজির হয়েছেন বছর একুশের বাংলাদেশি প্রেমিক আব্দুল লতিব ওরফে রাকিব। লতিফ বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী এলাকার ইসরাইলের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমের টানে ভারত থেকে বাংলাদেশে ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ভারতের মুড়িখাওয়া সীমান্ত হয়ে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া থানার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে যায় তরুণী খুসনামা। বাংলাদেশে প্রবেশের পরে তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সর্দার পাড়া গ্রামের হাসিনুর রহমান নামে এক ব্যাক্তির সাথে পরিচয় হয় তার। পরে তিনি ওই তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেতুঁলিয়া মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই তরুনীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রেমিকা খুসনামা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়ায় এসেছে জেনে প্রেমিক আব্দুল লতিব ওরফে রাকিবও তেঁতুলিয়া থানায় ছুঁটে যায় বলে খবর।
আরও পড়ুন, টিকিট ইস্যুতে বিদ্রোহের জের, প্রার্থীর ইমেজ ঠিক করতে দল থেকে ৮ জনকে বহিষ্কার তৃণমূলের
একথা নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া। তিনি বলেন, তরুনীকে আটক করার পর খবর দেওয়া হয় বিজিবিকে। বিকেলে তারা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে ভারতের হাপ্তিয়াগছ বড়বিল্লা সীমান্তের জিরো লাইনে পতাকা বৈঠক করে। শুক্রবার সকাল ১০টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ভারতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলে। ওই প্রেমিক যুগল থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকে। এরপর শুক্রবার বিকেলে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে গোয়ালপোখর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্র জড়িয়ে থাকার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কীভাবে বিএসফের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পেরিয়েছে তাঁরা, এখনও প্রশ্নটা রয়েই গিয়েছে। পুরো ঘটনাটাই খতিয়ে দেখছে বিএসএফ।