সংক্ষিপ্ত
- চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
- এখনও অক্সিজেন নিতে হচ্ছে তাঁকে
- খেয়েছেন আইসক্রিম, পেপে, চা
- রবিবার এমনই জানাল মেডিক্যাল বোর্ড
আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গিয়েছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে এখনও অক্সিজেন নিতে হচ্ছে তাঁকে। রবিবার এমনই জানাল মেডিক্যাল বোর্ড।
আশঙ্কার দিন শেষ। হাসপাতালের বোর্ড জানিয়ে দিল শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। রবিবার সকালেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসে উডল্য়ান্ড হাসপাতালের মেডিক্য়াল বোর্ড। পরে মেডিক্য়াল বুলেটিলে তাঁরা জানান,আজ সকালে আইসক্রিম,চা, পেপে খেয়েছেন বুদ্ধদেব। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। ৬ঘণ্টা বাইপ্যাপ নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। বাইপ্য়াপ নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। এখনও তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছে, ভর্তির সময় নিউমোনিয়া নিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী। বর্তমানে ওনার বুকের এক্স রে করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে, ওনার নিউমোনিয়া এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো হয়ে গেছে। ওনার যে নিউমোনাইটিস ছিল, তা ডান দিকে বেশি ছিল। এখন তা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। আগে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্র যেটা স্বাভাবিকের থেকে কম ছিল তা এখন ১০গ্রাম হয়েছে। এবিজিতে যে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়েছিল তা কমেছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে হাসপাতাল চত্বরে। ইতিমধ্যেই মুখ্য়মন্ত্রী, রাজ্যপাল তাঁর খবর নিতে হাসপাতালে এসেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় এসবি রায়, কল্যাণ বোস,কৌশিক চক্রবর্তী, এজি ঘোষাল,আশিস পাত্র,সৌভিক পান্ডা ও ফুয়াদ হালিমকে নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তিন বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছে বুদ্ধবাবুকে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শুক্রবার রাতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার হাসপাতালে যান বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। জানা গিয়েছে, তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাতে খুব বেশি ভিড় না হয়, সেই অনুরোধ করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য রোগীদের অসুবিধা হতে পারে ভেবেই এই অনুরোধ করেছেন তিনি। জানা গেছে, ইতিমধ্য়েই বাড়ি আসার জন্য় উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন বুদ্ধদেব। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনই ছাডা় হচ্ছে না তাঁকে।